নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, আগামী ২৯ মে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সুলতান মাহামুদ বিপুল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জোৎ¯্না আরা বেগম মিলিকে বিজয়ী করম্নন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীদের সন্ত্রাসী আর মাদক ব্যবসায়ীর টাকায় কেনা যায় না। আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাথে সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা কালো টাকায় নেতা বনে গেছে তারা কোনোদিন আওয়ামী লীগ কর্মীর ভোট পেতে পারে না।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শহরের খালধার রোডের আমিনিয়া মাদরাসার সামনে পৌর ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন আরো বলেন, তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে শাহীন চাকলাদারের ভাই বলে আমরা জেলা আওয়ামী লীগ মনোনীত করেনি। তাকে মনোনীত করা হয়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগের চাওয়ায় ও সবসময় জনগণের বিপদে পাশে থাকে এজন্যই তাকে সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে। যেভাবে শাহীন চাকলাদারকে পেয়েছিলেন ঠিক সেভাবে ফন্টু চাকলাদারকে পাশে পাবেন বলে বিশ্বাস করি।
মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের ভোট টা আমাদের নিজেদের ভোট। কারণ এ ভোটের মাধ্যমে এ শহরের নিরাপত্তা দেবে কে? আমাদের ভালো রাখবে কে? এটা নির্ধারণ হবে। তাই ভোট এমন একজনকে দিতে হবে যার মাধ্যমে এ শহর থেকে মাদক ও সন্ত্রাস দূর হবে। তাই বলবো ফন্টুকে ভোট টা দিতে। ফন্টু দলীয় কোনো পদপদবীতে না থাকলেও সবসময় রাজনীতির সাথে ছিলো এবং দলের জন্য কাজ করেছে।
পৌর ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদের, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপি, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন আর রশীদ, জেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহামুদ হাসান বিপু, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, সদস্য গোলাম মোস্তোফা, রেজাউল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন মোস্তাক, মোয়াজ্জেম হোসেন, সামিরুল ইসলাম পিয়াস, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ইউসুফ শহীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রাজীব, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নাজমুস সিদ্দিকী পলাশ, প্রচার সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সদস্য আনোয়ার হোসেন সবুজ, আবুল খায়ের, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দীন কবির পিয়াস, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আবুল খায়ের, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা শফিউল আলম সজল, জাহিদুল ইসলাম টুটুল, লিটন সিদ্দিকী, শ্রমিক লীগ নেতা জহির আহমেদ লিটু, যুবলীগ নেতা, রিফাত আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শরীফ হোসেন, কামাল হোসেন।