নিজস্ব প্রতিবেদক : ছেলেকে আদালতে সমর্পণের পর সংবাদ সম্মেলন করে কাঁদলেন মা। বলছেন তার ছেলে নির্দোষ। ছেলের এক সময়ের ব্যবসায়িক পার্টনার তাকে ফাঁসিয়েছে। যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের মোবারককাটি গ্রামের সোহান হোসেনের মা পারভিনা আক্তার গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি জানান, তার একমাত্র উপার্জনকারী ছেলে সোহান হোসেনকে (২৫) গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে সমার্পন করেছেন। কোতোয়ালি থানার একটি অস্ত্র মামলার আসামী হওয়ায় আদালতে সমার্পন করেন।
তিনি জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাব-৬ যশোরের একটি দল মোবারককাঠীর শহীদ মোড়লের ছেলে মেহেদী হাসান সাকিবের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় সাকিবের সাথে আরও একজন ছিলো। তারা দুজনেই বাড়ির ছাদ থেকে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় সাকিবকে র্যাব আটক করলেও আরেকজন পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাদ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান এবং চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব।
এরপর র্যাব পলাতক ব্যক্তির বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাকিব পূর্ব শত্রুতার জেরে সোহানের নাম বলে। র্যাব সাকিবের দেওয়া ভাষ্যমতে সাকিবকে এক নাম্বার আসামি ও সোহান ২ নাম্বার আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অস্ত্র আইনে মামলা হয়।
আমার ছেলে নির্দোষ তার পরেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে ছেলেকে বিচারকের হাতে সোপর্দ করেছি। বিচারক আমার ছেলেকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমার ছেলে সোহানের সাথে এক বছর আগে মোবারককাঠীর শহীদ মোড়লের ছেলে মেহেদী হাসান সাকিবের একটি রেস্টুরেন্টের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। কয়েকমাস পর বাধ্য হয়ে সাকিবের হাত থেকে রক্ষা পেতে কাজীপুর বলাডাঙ্গায় সোহান নিজে ছোট একটি রেস্টুরেন্ট তৈরির কাজ শুরু করেন। যা মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) উদ্বোধনের কথা ছিলো।
ওই রেস্টুরেন্টের কাজ শুরুর পরপরই সাকিবসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৭ জন সোহানের নির্মানাধীন রেস্টুরেন্টের এলাকায় প্রকাশ্যে গাঁজা ও ইয়াবা সেবন শুরু করে। শুধু তাই নয়, এক পর্যায় ওই এলাকায় মাদক বিক্রিও চালাতে থাকে। এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করে সোহান। এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সাকিব। আমার ছেলের রেস্টুরেন্টের কাজ শেষের কয়েকদিন আগে সাকিব লোকজন নিয়ে সোহানের কাছে চাঁদা দাবি করে। এ সময় চাদার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেয় ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সোহান হোসেনের বোন সোনিয়া শান্তা, দাদী নূর নাহার, চাচী জোসনা পারভীন, বন্ধু শেখ এলাহি, প্রতিবেশী মনিরুজ্জামান, আব্দুল ওদুদ, মেহেরুন নেছা, রিমা আক্তার।