সাইফুল ইসলাম : জমতে শুরু করছে যশোরের ঈদ বাজার। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনে বেজায় ভিড় লক্ষ্য করা গেছে । বিক্রেতারা বলছেন, আর মাত্র ১৪ রমজান বাকি। বাজারে ক্রেতার ভিড় শুরু হয়েছে। এমনটা শেষ রোজা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।
যশোরের এইচএমএম রোড, কালেক্টর মার্কেট, মুজিব সড়ক ভিআইপি মার্কেটসহ শহরের সকল মার্কেটে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতি ঈদেই শৌখিন নারীদের ভিড় দেখা যায় শাড়ির দোকানগুলোতে। এবারও শহরের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজে এ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শহরের কাজী পড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ গোলাম রাসূল বলেন, আমি আমার নাতি নিয়ে বাজারে এসেছি সকল কিছুর দাম বেশি। আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। নাতনির জন্য একটা জামা কিনলাম। আরো অনেকের জন্য অনেককিছু কেনাকাটা করা লাগবে।
বিমান অফিস মোড়ে এলাকার সাদিয়া জামান বলেন, সপ্তাহের অন্যদিন অফিস থাকায় কারোর জন্য কিছু কিনতে পারিনি। আজ ছেলে-মেয়ের জন্য কেনাকাটা করব তারপর স্বামীর জন্য আর নিজের জন্য কেনা কাটা করব।
অনিকা ফ্যাশনের আবু জাফর বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। লেকজন বাজারে আসলেও কেনাকাটা করছে কম লোক। আমাদের আশানুরূপ এখানো বিক্রি শুরু হয়নি। এখনো যেহেতু ১৫ দিন আছে আশা করি সামনের দিনগুলোতে ভালো বিক্রি হবে।
মোহনা ফ্যাশনের আবুল বাশার বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি হওয়ায়। এখনও সেভাবে বিক্রি শুরু হয়নি। এ বছর মেয়েদের নায়রা, শাহারা ও পাকিস্তানি বারি বেশি চলছে। তাছাড়া ওয়ান পিস, টু পিস থ্রি-পিস চলছে। নাসির কসমেটিক্সের নাসির উদ্দিন শিবলী বলেন, দশ রোজার পর থেকে বাজারে ক্রেতা আসা শুরু করলেও আমাদের আশানুরূপ ভালো বিক্রি এখনও হয়নি। আশা করি দুই একদিন পর থেকে ভালো বিক্রি হবে।
বটিক ঘরের কর্মচারী শেখ বিপ¬ব বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় বিক্রি অন্যদিনের তুলনায় বেশি ছিল। আমাদের এখানে ওড়না আর থ্রি-পিস বেশি বিক্রি হয়। সারাবছর ভালো বিক্রি হয় তবে ঈদের সময় অন্য সময়ের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়। বাটিক ঘরের ওড়না ১৫০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আছে এবং থ্রি-পিস ৫০০ থেকে ২ হাজার ২৫ শ পর্যন্ত আছে। আমাদের সকল পণ্য বাটিকের।