সোমেল রানা, মেহেরপুর : একটু বাতাসেই দুলে উঠছে বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা ও পদ্ম ফুল। বাড়ির ছাদে মাটির টবে ভরা পানিতে ফুলের এ অপূর্ব মিতালি গড়ে তুলেছেন মেহেরপুরের শোলমারী গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা সাইফুজ্জামান রিজন। তার সংগ্রহে অন্তত ৩০ প্রজাতির শাপলা ও ৫০ প্রজাতির পদ্মফুল রয়েছে।
শখের বসে মাত্র ২৫০ টাকায় পদ্ম ফুলের একটি চারা কিনে পরীক্ষামূলক লাগিয়েছিলেন ছাদ বাগানের টবে। সেই থেকে শুরু। এখন সখের সাথে সাথে আয়ের পথও তৈরি হয়েছে। এক সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার শাপলা –পদ্ম দেখে দর্শক যেমন অভিভ’ত তেমনি অনেকেই নিজেদের ছাদে চাষের জন্যে কিনছেন বাহারি পদ্ম-শাপলা। তাই মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে রিজনের বাগানে বর্তমানে রয়েছে পাঁচ লাখ টাকার শাপলা ও পদ্ম ফুলের চারা। কৃষি অফিস বলছে, সাইফুজ্জামান রিজনকে সবধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ছাদের ছোট ছোট চৌবাচ্চায় পুকুর বানিয়ে শাপলা-পদ্ম ফুটিয়ে তিনি পুরো ছাদটা জুড়ে জলজ ফুলের রাজ্য করে গড়ে তুলেছেন। প্রতিদিন তার ছাদে ফুটছে বাহারি ফুল। বাড়ির ছাদে ফোটা শাপলা ও পদ্ম দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। কেউ কেউ আবার আসছেন ছাদ বাগান করার পরামর্শ নিতেও।
ছাদ বাগানে ও বাড়ির উঠোনে রয়েছে জেলাস টু, প্রিন্সেস টম, সিয়াম পিংক টু, মালিকান, তা›জানাইট, কাওসি কাওরান, বেট্টি লও, এটর্রান্স, হেলোভোলা, পত্তুরকাসা, বুলস আইসহ ৩০ প্রজাতির শাপলা। থাম্মো, কর্ণ, লাক্সমি, রানি রেড, ইয়ালিং ইন থাউজ্যান্ড পেটাল, মৃণালিনী, এল এল স্টার, নিউ স্টার, মাইক্রোমাইন, আবরার, স্নো হোয়াইট, ইয়োলো পিওনি, বাসুকিসহ ৫০ প্রজাতির পদ্ম ফুল।
সাইফুজ্জামান রিজন বলেন- শখের বসে মাত্র ২৫০ টাকায় পদ্ম ফুলের একটি চারা কিনে পরীক্ষামূলক লাগিয়েছিলাম টবে। সেখান থেকেই শুরু। এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পদ্ম আর শাপলা চাষ করছি। দুই বছরের ব্যবধানে বর্তমানে বাগানে রয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার শাপলা ও পদ্ম ফুলের চারা।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ছাদ বাগানে শাপলা ও পদ্ম ফুল তৈরি একদিকে যেমন এই ফুলকে বিলুপ্তির পথ থেকে রক্ষা করবে অন্যদিকে তরুণ উদ্যোক্তা ও নার্সারিতে এ পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে তরুণরা।