নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ছয় দফা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে খ্যাত। ১৯৬৬ সালের ৭জুন পূর্ব পাকিস্তানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা দাবির পক্ষে গণ-আন্দোলনের সূচনা হয়, যা এগিয়ে যায় স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকে। ছয় দফার সমর্থনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে গুলি চালায় পুলিশ ও ইপিআর। এতে ১১ জন বাঙালি শহিদ হন। এরপর ছয় দফার আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় পরাধীন বাঙালি জাতি। আর এই ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে ছয় দফা দিবসে একথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি বাংলাভাই ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিলো। খালেদা জিয়া-তারেক জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় ও মদদেই এদের উত্থান ও কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিলো। বিএনপির আমলে দেশব্যাপী বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে তারা বিদেশে চাকরি দিয়েছিল। বর্তমান সরকার জঙ্গি দমন করেছে। খালেদা জিয়ার বিএনপি আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে; তাদেরকে দমন করবে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ।
যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সেলিম রানা, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর বাবু, সদস্য অধ্যক্ষ মোয়াজেম হোসেন, সদর উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আরা মিলি, ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রনি।
উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. এম এ বাসার, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু, সদস্য আনোয়ার হোসেন মোস্তাক, এহসানুর রহমান লিটু, সামির ইসলাম পিয়াস, মারুফ হোসেন খোকন, জেলা পরিষদের সদস্য রেহেনা খাতুন, পৌর কাউন্সিলর নাসিমা আক্তার জলি, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির তুহিন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন আলা, যুগ্ম সম্পাদক এসএম ইউসুফ শাহিদ, এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।