সমাজের কথা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জ—৩ নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের পর এবার জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মুজিবুল হক চুন্নুকে আটকাতে চান নৌকার প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান। মুজিবুল হক চুন্নু ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।
৮ ডিসেম্বর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আপিল করার সময় চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আপিলও করেন তিনি।
নৌকার প্রার্থী অভিযোগ করেন, রুপালী ব্যাংক পুরানা পল্টন, করপোরেট শাখা থেকে পাঁচ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টার মজিবুল হক দীর্ঘদিন ঋণ খেলাপি হিসেবে আছেন। অতএব তিনি কীভাবে এমপি মনোনয়নের জন্য আবেদন করতে পারেন। তার মনোনয়ন আইন মোতাবেক বাতিলযোগ্য। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট গোপন করে মনোনয়নের জন্য কাগজপত্র দাখিল করেছেন। বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত হওয়া দরকার।
বৈধ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আপিল হলে কমিশন তা বিবেচনায় নেবে কি না— জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, অবশ্যই। আইনে আছে, এবার আরপিও সংশোধন হয়েছে। আগে ছিল রিটার্নিং অফিসারের রিজেকশনের বিরুদ্ধে আপিল। আরপিওতে আছে, শুধু রিটার্নিং অফিসারের রিজেকশন না, রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। যেহেতু আইনে আছে, কমিশন যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে মোট দুই হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা প্রায় ২৭ শতাংশ। যাচাই—বাছাই শেষে বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।