চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী উত্তরপাড়া গ্রামের ব্রিজটির (পুল) সংযোগ সড়কের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ব্রিজটি এখন ১০ গ্রামের মানুষের অঘটনের ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই সাইকেল, ভ্যান ও নছিমনসহ বিভিন্ন যানবহন উল্টে পড়ছে সংযোগ সড়ক সংলগ্ন বংশধর বালার পুকুরে। ওই পুকুরে পড়ে এক ব্যক্তি নিহতসহ কমপড়্গে অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন। সর্বশেষ অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ছাব্বির গাজী (২৫) নামের এক নছিমন চালক। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই পুকুর থেকে গ্রামবাসিরা তার নছিমন উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই গ্রামের নবকুমার মালাকার, কিরণ বাড়ই, কমলেশ রায়, বিভূতী বিশ্বাস, শিড়্গক সুব্রত কুমার রায়, ধীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, গৌতম, সুশাšত্ম বিশ্বাস ও এনজিও কর্মী প্রশাšত্ম কুমার মন্ডল বলেন, ‘ওই ব্রিজটি দিয়ে আমরা পথচারীরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। ব্রিজ থেকে নামার রা¯ত্মায় ঠিকমত পাইলিং না থাকায় ওই গ্রামের শচীন্দ্রনাথ মন্ডল (৬০) ভ্যান উল্টে পুকুরে পড়ে আহত হন; চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ওই এলাকার শ্যামল রায় (৩৫), ঠাকুরদাস বিশ্বাস (৫৯), বিশ্বজিৎ বালা (৪০), উৎপল মজুমদার (২২), তারক মন্ডল (৩৫) ও নজরম্নল শেখসহ (৪৫) কমপড়্গে ৫০ জন লোক খাদে ও পুকুরে পড়ে আহত হয়েছেন। ব্রিজের গোড়ায় বংশধর বালার জায়গা হওয়ায় সে সরকারিভাবে পাইলিং বা রা¯ত্মা মেরামতের সময় কাজে বাধা দেয়। আমরা এলাকাবাসি ব্রিজের গোড়ায় পাইলিং ও রা¯ত্মা মেরামতের জোর দাবি জানাই।’
এ ব্যাপারে বংশধর বালা বলেন, ‘ব্রিজের গোড়ায় পাইলিং ও রা¯ত্মা মেরামতের কাজে আমি কখনো বাধা দেইনি।’
চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল বলেন, ‘জায়গাটি চলাচলের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। ওরা ব্রিজের গোড়ায় পাইলিং ও রা¯ত্মা মেরামতের জন্য একটি আবেদন দিয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা দ্রম্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’