চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিয়ের দাবিতে এক প্রেমিকা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার দুপুরে চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় প্রেমিকার বড় বোন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রেমিকা ছন্দা রায় তার প্রেমিক অনিমেশের বাড়িতে গিয়ে অনশন করেন।
সেখানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার, পুলিশসহ গণ্যমান্যরা গিয়ে অনিমেশের সাথে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এরপর অনিমেশের অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে খবর পেয়ে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রেমিকের সাথে শারীরিক সম্পর্কের কথা উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছন্দা রায়। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, ২০১৭ সালে চিতলমারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের আরুলিয়া গ্রামের মৃত আশুতোষ রায়ের মেয়ে ছন্দা রায়ের (৩০) সাথে বাগেরহাট সদর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের অনন্ত মজুমদারের মেজ ছেলে অনিমেশ মুজমদারের (৩৫) ভালোবাসার সম্পর্ক হয়। অনিমেশ তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে অনিমেশ ছন্দাকে বিয়ের খরচ বাবদ দুই লাখ টাকা দিতে বলে। ছন্দা তাকে এক লাখ টাকা যোগাড় করে দেন। এরপর অনিমেশ ছন্দাকে তার (অনিমেশের) বাড়িতে গিয়ে উঠতে বলে। গত ২ মে বিকেলে ছন্দা অনিমেশদের খালিশপুরের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন এবং বিয়ের প্রসঙ্গটি তোলেন। অনিমেশ তখন বাড়ি ছেড়ে পালায়। তখন ছন্দা বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান করেন। এ সময় অনিমেশের মা, ভাইসহ অন্যান্য লোকেরা ছন্দাকে গালিগালাজ করে টেনেহিঁচড়ে বাড়ি হতে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন।
৩ মে সদরের বিষ্ণুপর ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল পাইক, ইউপি সদস্য কৃষ্ণ পদ এবং সদর থানার এসআই মো. মাইনুল ইসলাম ও অনিমেশের কাকা শান্ত মজুমদারসহ এলাকার কয়েকজন লোক বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছন্দাকে বাড়ি পৌঁছে দেন। এরপর অনিমেশকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের বাড়ির লোকেরা চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় প্রতারণার হাত হতে রক্ষা পেতে ছন্দা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাগেরহাট সদর থানার এসআই মো. মাইনুল ইসলাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে তার সাথে ওই ছেলের বাড়িতে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য লোকেরা মেয়েটিকে অনিমেশের সাথে দুই সপ্তাহ পর বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর সে তার বাবার বাড়ি চলে যায়।
বিষ্ণুপর ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল পাইক জানান, একটি মেয়ে ছেলে বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকার খবর পেয়ে থানার এসআই মাইনুলকে নিয়ে যাই। ভালোবাসার সম্পর্ক না থাকলে এমনিতে একটি মেয়ে ছেলের বাড়িতে ওঠার সাহস দেখাবে না। ছেলে পক্ষকে বললে তারা ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন।