সমাজের কথা ডেস্ক : দেশে চলমান দাবদাহের মধ্যে হিটস্ট্রোক আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার সংস্থাটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, গত ২২ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ জন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন, যাদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে মাদারীপুরে মারা গেছেন দুজন। আর চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় মৃত্যু হয়েছে একজন করে।
দেশের বিভিন্ন উপজেলা, জেলা সরকারি হাসপাতাল এবং সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাঠানোর তথ্যের ভিত্তিতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
এ পরিসংখ্যানে কেবল সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের তথ্য স্থান পেয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু অথবা হাসপাতালের বাইরের মৃত্যুর তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে আসেনি।
সংস্থাটির এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগী বা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসে মারা গেছেন, এমন তথ্যই দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
“ইনডোরে ভর্তি রোগী এবং হিটস্ট্রোকের সিম্পটম নিয়ে যারা মারা যাচ্ছে, তাদের তথ্য আমাদের কাছে আসে। আমাদের সিস্টেমে যেটুকু আসে, সেটুকুই কন্ট্রোল রুম আপলোড দেয়। বাইরে কোথাও আক্রান্ত বা মৃত্যু হলেও সেই তথ্য আমাদের কাছে আসে না।”
যশোরে পারদ উঠেছে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
চলতি মৌসুমে টানা ৩১ দিন ধরে চলা দাবদাহ আরো দুয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলে আভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস। এরইমধ্যে মঙ্গলবার যশোরে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে। এটি দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। চুয়াডাঙ্গায় এদিন থার্মোমিটারের পারদ ওঠে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে। আর ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে।
সোমবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ঢাকায় ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে বেড়েছে।
তীব্র গরমের মধ্যে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃত্যুর খবর আসছে সংবাদমাধ্যমে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।