সমাজের কথা ডেস্ক : গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া উপজেলায় একটি কবরস্থান থেকে তিনটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে কোনো এক সময়ে উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের পশ্চিম চিত্রাপাড়া কবরস্থানে কঙ্কাল চুরি হয়ে বলে কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান। স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোরে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দাফন করা লাশের স্বজন ও এলাকাবাসী কবরস্থানে ছুটে আসেন। স্বজনদের কান্নায় এলাকার শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই কবরস্থানে ছয়টি কবর খোঁড়া হয়েছে। এর মধ্যে চিত্রাপাড়া গ্রামের লিয়াকত আলী, চাঁদ মিয়া ও বায়জিদ হোসেনের কবরে মরদেহ বা কঙ্কাল ছিল না।
লিয়াকত আলীর বড় মেয়ে সালমা খানম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার বাবা ৯ মাস আগে মারা যান। মারা যাওয়ার পরে পশ্চিম চিত্রাপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলেন। জীবনে তিনি কারো ক্ষতি করেননি।
“আজ ভোরে খবর পাই কবরস্থান থেকে বাবার মরদেহ চুরি হয়েছে। তাৎক্ষণিক আমরা এখানে ছুটে এসে দেখতে পাই বাবার কবর খোঁড়া। কবরের পাশেই কাফনের কাপড়, শরীরের চামড়া ও চুল-দাড়ি পড়ে আছে। হাড়গুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
চাঁদ মিয়ার ছেলে মহাসিন ইসলাম বলেন, “আমার বাবা চার মাস আগে মারা গেলে এই চিত্রাপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। আজ সকালে লাশ চুরির খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি আমার বাবার কবর খোঁড়া। কবরের ভেতরে আমার বাবার মরদেহ নেই।”
চিত্রাপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়া বলেন, “এই কবরস্থানে আমার মা-বাবাকে দাফন করা হয়েছে। আমি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পড়ে তাদের কবর জিয়ারত করতে আসি। আজ কবরস্থানে ঢুকতেই দেখি একটি কবর খোঁড়া। আশপাশে তাকিয়ে দেখি একে একে ছয়টি কবর খোঁড়া। এর মধ্যে তিন কবরে লাশ নেই। তখনই আমি এলাকাবাসীকে খবর দেই।”
ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বিষয়টি জানার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।”
যে লাশগুলো চুরি হয়েছে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।