নিজস্ব প্রতিবেদক : বেশি বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে যশোরের শহরতলীর শেখহাটির এক গৃহবধূকে ভারতে পাচার এবং পতিতাবৃত্তি করানোর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর পিতা চারজনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। এই মামলায় এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল সোমবার তারা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
আটককৃতরা হলো, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট গ্রামের পূর্বপাড়ার মজনু মিয়া ও তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন।
এই মামলার পলাতক আসামিরা হলো, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামের পূর্বপাড়ার সোহাগ সরদার ও তার স্ত্রী আফসানা মিমি বেগম ওরফে জয়া ওরফে রিয়া।
বাদী যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার বাসিন্দা। তিন বছর পূর্বে তার মেয়েকে শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা এলাকায় পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু জামাই তার মেয়েকে নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। একই বাড়িতে আসামি মজনু মিয়া ও তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। পাশাপাশি বসবাস করায় পরিচয় হয় তাদের সকলের মধ্যে। এক পর্যায়ে আসামি মাজেদা খাতুন বাদীর মেয়েকে ভারতে বেশি বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে মেয়েটি রাজি হয়।
২০২২ সালের ১৭ মে বিকেল তিনটার দিকে মেয়েটিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মজনু ও তার স্ত্রী। এরপরে মেয়েটিকে নিয়ে তারা ভারতে গুজরাটে একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেন। সেখানে তাকে দিয়ে জোর করে পতিতাবৃত্তি করানোর চেষ্টা করে। রাজি না হলে তাকে খুন করার হুমকি দেয়। এভাবে সাত মাস পরে কৌশলে মেয়েটি পালিয়ে দেশে ফিরে আসে। এরপরে বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের লোকজন স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে থানায় মামলা করে। পুলিশ এই মামলার আসামি মজনু মিয়া ও তার স্ত্রী মাজেদাকে ঝিনাইদহ থেকে গত সোমবার ভোর রাতে আটক করে যশোরে নিয়ে আসে।