মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : স্বর্ণ চোরাচালানীর টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শামীম মন্ডল (৩৫) ও মন্টু মন্ডল (৪৭) নামের দু’জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসময় নিহত শামীমের বাবাও সামছুল মন্ডল (৬৫) গুলিতে আহত হয়। তাকে আহত অবস্থায় মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাঘাডাঙ্গা গ্রামে। আক্রমণকারী তরিকুল ইসলাম ওরফে আকালে পলাতল রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা দিয়ে দীর্র্ঘ দিন ধরে শামীম, মন্টু, তরিকুলসহ ৫/৬ জন সোনা চোরচালান ব্যবসা করে আসছিলো। চোরাচালানীর টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো।
নিহত শামীমের চাচাতো ভাই কামরুজ্জামান জানান, বাঘাডাঙ্গা গ্রামের পনিআটি পাড়ার টেনা মন্ডলের ছেলের তরিকুল ওরফে আকালের কাছে পাওনা টাকা চাইতে যায় বাঘাডাঙ্গা গ্রামের সামসুল মন্ডলের ছেলে শামীম ও একই গ্রামের মন্টু। তখন তরিকুল, শামীম ও মন্টু মধ্যে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে তরিকুল ওরফে আকালের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে শামীম ও মন্টুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। সংবাদ পয়ে মহেশপুর থানা পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে ২টি গুলির খোশা ও তীরধনুক উদ্ধার করেছে।
নেপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আলম মৃধা জানান, তাদের মধ্যে চোরাচালানের টাকা পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের কারণেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মাহাবুর রহমান জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতদের লাশ ঝিনাইদহ মর্গে প্রেরণ করা হবে। তিনি আরো জানান, আসামী ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে।