সমাজের কথা ডেস্ক : ফের গুজবের টার্গেট হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
৩০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে অনেকেই পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন সজীব ওয়াজেদ জয়কে।
সেই পোস্টগুলোতে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইটেক অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেছেন।
কিন্তু এমন কোন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গণমাধ্যমকে জানাননি সজীব ওয়াজেদ। উল্টো আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করে জানা যায় বিষয়টি ‘সম্পূর্ণ গুজব’।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা—১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইটেক এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেছেন— এ ধরনের একটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট খবরে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো যাচ্ছে ‘
<< আরও পড়ুন >> প্রধানমন্ত্রী লন্ডন পৌঁছেছেন
এর আগে ‘মা শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না সজীব ওয়াজেদ জয়ের’, ‘যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পালিয়েছেন জয়’, ‘যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে ওমানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে সজীব ওয়াজেদ’, ‘সজীব ওয়াজেদের হাজার কোটি টাকা জব্দ করেছে মার্কিন ট্রেজারারি বিভাগ’, ‘যুক্তরাষ্ট্র খুঁজছে সজীব ওয়াজেদ জয়কে’, ‘যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়েছেন জয়’— এমন অসংখ্য গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়িয়েছে বিগত কয়েক মাস ধরে।
কোন কারণ প্রমাণ ছাড়াই ফেসবুক ও ইউটিউবে এ বিষয়ক অদ্ভুত সব ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শুধু একটি ছবি পোস্ট করে এ সকল গুজবের জবাব দিয়ে দেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
ছবির ক্যাপশনে সজীব ওয়াজেদ লেখেন, ‘ভার্জিনিয়ায় আমার গলফ ক্লাবে পরিবারের সঙ্গে মায়ের জন্মদিনের ডিনার।’
এ ছবির মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়ে দিলেন, পরিবার সহ তিনি যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন। শুধু সমালোচনার জন্যই মিথ্যা বার্তা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছিলো তার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বা ট্রেজারার বিভাগও খুঁজছে না। তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে কোন অভিযোগ নেই আর প্রেক্ষাপটে দেশটি থেকে বা দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে তাকে পালিয়ে থাকতে হবে। এরপরই ৩০ সেপ্টেম্বর নতুন এক গুজবের শিকার হলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।