ক্রীড়া প্রতিবেদক : গায়ানার প্রভিডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা- দুই দলের অধিনায়কই আগে ব্যাট করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। কিন্তু দিনটা ছিল বিশেষ করে ফাস্ট বোলারের, যারা ৮২.২ ওভারের মধ্যে ৬৮ ওভার বল করে নিয়েছেন ১৫ উইকেট! এদিন সব মিলিয়ে পড়েছে ১৭ উইকেট, গায়ানার এই ভেন্যুতে টেস্ট ক্রিকেটে একদিনে সর্বোচ্চ উইকেট পতনের রেকর্ড।
সব মিলিয়ে গায়ানায় এর আগে খেলা হয়েছে দুই টেস্ট। সবশেষ লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ২০১১ সালের মে মাসে। ১৩ বছর তিন মাস বিরতির পর আবার সাদা পোশাকে খেলতে নেমে প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিলেন বোলাররা।
শামার জোসেফ নিজ ঘরের মাঠে অভিষেক স্মরণীয় করলেন পাঁচ উইকেট নিয়ে। তবে অতিথি দলের ভিয়ান মুলডার ক্যারিয়ার সেরা ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তার পারফরম্যান্সকে মাটিচাপা দিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার তার প্রথম তিন ওভারেই একটি করে উইকেট নিয়েছেন। তার সঙ্গে নান্দ্রে বার্গার তোপ দাগিয়ে ক্যারিবিয়ানদের চাপে ফেলেন।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৬০ রানে অলআউট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জোসেফের সঙ্গে জেইডেন সিলস দারুণ বোলিংয়ে তাদের দমিয়ে রাখতে পেরেছেন। কিন্তু জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজও বিপদে। ৭ উইকেটে ৯৭ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকা একশ করতে গিয়েই ঘেমেনেয়ে একাকার। ৯৭ রানে ৯ উইকেট নেই তাদের। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন ১১৬ রানের ইনিংসের রেকর্ড ভাঙার ঝুঁকিতে ছিল।
সেখান থেকে উইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা দশম উইকেটে তাদের রেকর্ড ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন ডেন পিয়েট ও বার্গার। সর্বোচ্চ ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন পিয়েট। ২৩ রান করেন বার্গার। এর আগে ট্রিস্টান স্টাবস (২৬), ডেভিড বেডিংহ্যাম (২৮) ও কাইল ভেরেইন্নে (২১) উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
শামার ১৪ ওভারে ৩৩ রানে ৫ উইকেট নেন। সিলস পান ৩ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায়। বার্গার ফেরান মিকাইল লুইসকে। তারপর ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও কিসি কার্টি স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ে রান করছিলেন। অষ্টম ওভারে মুলডার বল হাতে নিয়ে তোপ দাগান। তিন ব্যাটারকে ফেরান তিনি টানা ৩ ওভারে। দলীয় ৫৬ রানে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। মাঝে বার্গার নেন আরেকটি উইকেট।
৫৬ রানে পাঁচ উইকেট পড়ার পর মোটিকে নিয়ে জেসন হোল্ডার প্রতিরোধ গড়েছিলেন। ৪১ রানের এ জুটি ভেঙে দেন কেশব মহারাজ। মোটি (১১) আউট হওয়ার পর সেখানেই শেষ হয় দিনের খেলা। ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হোল্ডার। দুই দলের প্রথম ছয় ব্যাটারের মধ্যে কেবল তিনিই ত্রিশের বেশি রান করেছেন।
৬৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আরেকটি নাটকীয় দিনের প্রত্যাশা করা যেতেই পারে।