২৯শে নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
গবেষণা : আধুনিক নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি অসুখী

সমাজের কথা ডেস্ক : আগের তুলনায় বেশি স্বাধীনতা ও কাজের সুযোগ পাওয়ার পরও নারীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার হার বেশি বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এ গবেষণা অনুসারে, বিষণ্ণতা, ক্রোধ, একাকিত্ববোধ ও অপর্যাপ্ত ঘুমের মতো মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন নারীরা। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বয়সের নারীদের মধ্যে একই প্রবণতা দেখা গেছে।

আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে নতুন এই গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বেশির ভাগ মার্কিন নারী অসুখী।

এখনো পরিবারের সন্তান ও বয়োজ্যেষ্ঠদের দেখভাল সাধারণত নারীরাই করেন। আবার অনেকেই ঘর—সংসার ও চাকরি দুটোই সামলান। কর্মক্ষেত্রে পাঁচ ভাগের তিন ভাগ নারীই নিপীড়ন, যৌন হয়রানি বা মৌখিক হয়রানির শিকার হন।

করোনা মহামারির সময় লৈঙ্গিক এ অসমতা দৃশ্যমানভাবে বেড়ে যায়। তখন কর্মক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি নারীদের ওপর আরও বেশি গৃহস্থালি কাজ ও দেখভালের দায়িত্ব পড়ে যায়। তবে আরও বেশি লক্ষণীয় বিষয় হলো, নারীদের ওপর চাপ বেশি পড়লেও তাঁরা সেই বাধা উতরে যেতে পেরেছেন। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, মানসিকভাবে নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন।

নারীর অভিযোজন ক্ষমতার পেছনে সামাজিক সংযোগ একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। ২০১৯ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরা এগিয়ে। এমনকি নারীরা ব্যক্তিগত উন্নতি সাধনেও পুরুষের চেয়ে বেশি সক্ষম।

কারণ হিসেবে দেখা যায়, নারীদের সহযোগিতা নেওয়ার প্রবণতা পুরুষের চেয়ে বেশি। তাঁরা তুলনামূলক কম সময়ে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন, যার ফলে জলদি প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে পারেন।

সামাজিক যোগাযোগের বিষয়টিও নারীরা পুরুষের তুলনায় অধিক মূল্যায়ন করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের বন্ধুত্ব তুলনামূলক বেশি অন্তরঙ্গ হয়। নারীরা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ বেশি পছন্দ করেন, যার ফলে আত্মপ্রকাশের ক্ষমতা ও মানসিক সমর্থন বৃদ্ধি পান।

এ তুলনায় পুরুষের বন্ধুত্ব সমান্তরালে কাজ করার ওপর নির্ভরশীল। পুরুষেরা একসঙ্গে কফি খাওয়ার চেয়ে এক সঙ্গে ফুটবল দেখা বেশি উপভোগ করেন।

<< আরও পড়ুন >> ছাদ বাগান থেকে তনিমার ইনকাম লাখ টাকা

নতুন এই গবেষণা বলছে, নারীদের পরার্থপরতায় নিযুক্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। তাঁরা অন্যদের সহযোগিতা ও দাতব্য কাজে অংশ নেন বেশি, যার ফলে জীবনের অর্থবোধ ও উদ্দেশ্য সচেতনতা বাড়ে।

তবে গবেষকেরা এ—ও বলছেন, এ ধরনের প্রবণতা থেকে নারীদের নিজের চেয়ে অন্যের চাহিদা বা প্রয়োজনকে বেশি গুরুত্ব দিতে উৎসাহিত করার সামাজিক রীতি তৈরি হতে পারে। অন্যের চাহিদাকে বেশি গুরুত্ব দিলে নিজে বেশি সুখী না হলেও জীবনের অর্থবোধ থাকার সঙ্গে সুখের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এটিই সামাজিক রীতিতে পরিণত হলে নারীদের অধিকার হুমকির মুখে পড়তে পারে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
Fri Sat Sun Mon Tue Wed Thu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram