কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী, আপনি পদ্মা সেতুর মত অনেক অসম্ভবকে সম্ভবে রূপান্তরিত করেছেন। আমাদের মত হতদরিদ্রদের দেখিয়েছেন বাঁচার স্বপ্ন, আপনার আর্থিক সহায়তা, মাথা গোজার আশ্রয় আমাদের নতুন জীবন দিয়েছে। আপনি আমাদের স্বপ্ন সারথী, আত্মার আত্মীয়।
এ বন্ধন টুটবেনা কোনদিন। সরকারের কর্মকাণ্ডে খুশি কেশবপুরের লাখো জনতা এভাবেই ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে। কেশবপুর কলেজ মাঠে একত্রিত হয়েছিলেন উপকারভোগীরা। তারা সম্মিলিতভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে থাকার অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যশোর—৬ আসনের সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, উন্নয়ন ও শান্তির ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক এগিয়েছে। এ উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি দেশের গণমানুষের জন্য রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, হকার, শ্রমিক, কৃষকদের যেন কষ্ট না হয়, সেজন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। খেটে খাওয়া মানুষ হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা যুগ যুগ ধরে সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রেখেছে, টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তর দলে রূপান্তরিত হয়েছে, গণমানুষের দলে রূপান্তরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, নারী ও শিশুদের উন্নয়ন এবং বিভিন্ন পেশাজীবীর দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে বর্তমান সরকার গৃহীত নানাবিধ প্রকল্পের মাধ্যমে কেশবপুর উপজেলার প্রত্যক্ষ উপকারভোগী জনসাধারণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার প্রভাত কুমার রায়ের সঞ্চালনায় কেশবপুর ডিগ্রী কলেজ মাঠের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ কাজী রফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন।
উপকারভোগীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা তৌহিদুল ইসলাম, উপকারভোগী মঞ্জুরাণী বিশ্বাস, তাজমিন নাহার, কামনা রাণী মল্লিক, উজ্জ্বল ব্যানার্জী, খাদিজা বেগম, আরতী সাহা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি এমপি শাহীন চাকলাদার আরো বলেন, দেশের মানুষের ভোটে বিএনপির আস্থা নেই। বিএনপির আস্থা শুধু বিদেশিদের ওপর। তারা সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ব্যস্ত। জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ জানাতে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে ব্যস্ত। কারণ তারা (বিএনপি) আন্দোলন সংগ্রাম করে ক্ষমতায় আসেনি, তারা বন্দুকের নল ঠেকিয়ে, ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছিল।
এখন আবারও আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার দিবাস্বপ্ন দেখছে। তবে দেশের মানুষ আগুন সন্ত্রাসীদের দল ও ক্ষমতায় থাকতে দেশের অর্থ লুন্ঠনকারীদের দল বিএনপিকে আর ক্ষমতায় আনবে না। জনগণ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেই আবারও ক্ষমতায় আনবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) আশেক সুজা মামুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুজ্জামান, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মশিয়ার রহমান সাগর, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম আমীর হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক চম্পা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী মোল্যা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সজীব সাহা, উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান, ইন্সপেক্টর তদন্ত জহির আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু, সহ সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম পিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়, ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস, বিদ্যানন্দকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, মঙ্গলকোট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ^াস, পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন, সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান, গৌরীঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, হাসানপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক বিএম শহিদুজ্জামান শহীদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ লাভলু প্রমুখ।