চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় সরাসরি গাছিদের কাছ থেকে খাঁটি খেঁজুর গুড় সংগ্রহের জন্য খেঁজুর গুড়ের হাট ওয়েবসাইটের উদ্বোধন এবং খেঁজুর গাছ কাটা গাছিদের মধ্যে সমবায় সমিতির সনদ বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার সভাপতিত্বে ওয়েব সাইটের উদ্বোধন এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চৌগাছার সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস, সিংহঝুলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মল্লিক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুবাশ্বির হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী রিয়াসাত ইমতিয়াজ, সমবায় কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তিনশতাধিক খেঁজুর গাছ কাটা গাছি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, যশোরের ঐতিহ্যবাহী খেঁজুর রস ও গুড়ের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গত মৌসুমে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুটি খেঁজুর বাগান করাসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কপোতাক্ষ ও ভৈরব নদের দুই পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে লক্ষাধিক খেঁজুর গাছ ও বীজ রোপন করা হয়েছে। গত বছর উপজেলায় খেঁজুর গুড়ের মেলা করা হয়েছে। যা প্রতি বছর ১লা মাঘ থেকে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি গাছিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এখন থেকে প্রতি বছর উপজেলায় যত খেঁজুর বীজ হবে সব বীজ রোপণ করে দিতে হবে। দেখা যাবে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে উপজেলার খেঁজুর গুড়ের ঐতিহ্য ফিরে এসেছে।
তিনি গাছিদের প্রতি অনুরোধ রেখে বলেন, আগে উপজেলায় আড়াই শতাধিক খেঁজুর গুড়ের কারখানা ছিলো। ইটভাটায় গাছ বিক্রি করে দেয়ায় কালক্রমে এর ঐতিহ্য ধ্বংসের পথে। মনে রাখবেন ইটভাটায় কোন খেঁজুর গাছ বিক্রি করা যাবে না। তাহলে কয়েক বছরের মধ্যে এই এলাকায় খেঁজুর গুড়ের ঐতিহ্য ফিরে আসবে। তিনি বলেন, আপনাদের সমবায় সমিতি করে দেয়া হয়েছে, ওয়েবসাইট করে দেয়া হয়েছে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ অনলাইনে সরাসরি আপনাদের কাছ থেকে খাটি খেঁজুর গুড় কিনতে পারবেন।
তিনি গাছিদের বলেন, দয়া করে গুড়ে কোন ভেজাল দেবেন না। তিনি বলেন, এই সমবায় সমিতির মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবেন। গত দুই বছরের মতো আপনারা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে সকল প্রকার কৃষি প্রণোদনা পাবেন।