সমাজের কথা ডেস্ক : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে খুলনার ছয়টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) নগরীর আল ফারুক সোসাইটিতে এক দায়িত্বশীল সমাবেশে তিনটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুর খালেক। এর আগে আরও তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
প্রার্থীরা হলেন খুলনা-১ আসনে (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) বটিয়াঘাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির শেখ আবু ইউসুফ, খুলনা-২ আসনে (সদর-সোনাডাঙ্গা) কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, খুলনা-৩ আসনে (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরীর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা-৪ আসনে (রূপসা-দিঘালিয়া-তেরখাদা) খুলনা জেলার নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, খুলনা-৫ আসনে (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং খুলনা-৬ আসনে (কয়রা-পাইকগাছা) কেন্দ্রীয় মজলিসে কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
এ ছাড়া সাতক্ষীরার চারটি ও বাগেরহাটের চারটি মোট ১৪টি আসনের সবকটিতে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, বহু রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা নিশ্বাস ফেলে কথা বলার বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন আবার বাংলাদেশকে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে যে গণবিপ্লব এবং নতুন স্বাধীনতা, সেই স্বাধীনতাকে বিপর্যস্ত করার জন্য নতুন কোনো চক্রান্ত করা হলে এ দেশের ছাত্র-জনতা তা প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত সকল কাজের মাঝেও দ্বিনের এই মহান দায়িত্বকে সঠিকভাবে আঞ্জাম দেওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। নিজেদের ও সংগঠনের ভারসাম্যপূর্ণ কাজের সমন্বয় করতে হবে। একইসঙ্গে আমাদেরকে বহুবিধ যোগ্যতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। ইকামাতে দ্বিনের এ কাজে একনিষ্ঠ হয়ে সবার কাছে সংগঠনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। সফলতা ও বিপ্লবের জন্য একটি সুদৃঢ় ক্ষেত্র প্রস্তুত করা খুব জরুরি। ইসলামী আন্দোলনের পথে বাধা আসবে এটা স্বাভাবিক, এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেই ইসলাম বিজয়ী হয়েছে। খোদাভীতি, মেধা, প্রজ্ঞা ও বিবেকবোধের আলোকে নিজেকে ও সংগঠনকে পরিচালনা করতে পারলেই কেবল আমাদের প্রতিটি স্তরের সাফল্যের পাশাপাশি পরকালীন মুক্তি লাভ সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, নায়েবে আমির মাওলানা কবিরুল ইসলাম, মহানগর নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান ও মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন ও সেক্রেটারি রাকিব হাসান।