সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : তালার ইসলামকাটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে ইচ্ছেমত। স্থানীয়দের অভিযোগ অবৈধ আয়ে এক অফিস সহকারীর খুপড়ি ঘর অট্টালিকায় রূপান্তরিত হয়েছে।
অভিযোগ আছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরি করছেন অফিস সহকারী সুজায়েত মৃধা। অফিসের প্রধান সহকারী প্রভাষ কুমার মন্ডল তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের কাঁচড়াহাটিতে ৪ হাজার স্কয়ার ফুটের ৫ তলা বাড়ি তৈরী করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, পৈত্রিক সম্পত্তি বলতে ছিল খুপড়ি ঘর।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জাতীয় পরিচয়পত্র (৬৪৩৭৬৯৩৫৫৫) অনুযায়ী অফিসের পিওন সুজায়েত মৃধার জন্ম তারিখ ২৮ এপ্রিল ১৯৮২। চাকুরীর আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ২৮/০৪/১৯৯৩। তিনি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আশাশুনি রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে ইসলামকাটি রেজিষ্ট্রি অফিসে অফিস সহকারী পদে যোগদান করেন। তথ্য গোপন করে নিয়োগ পাওয়ায় অনিয়মের সুযোগ পাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ইসলামকাটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের রেজিষ্টার মইনুল হকের বিরুদ্ধে শ্যামনগরের এক ব্যক্তি ফৌজদারী মামলা করেছেন।
অফিস পিওন সুজায়েতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। প্রভাষ কুমার মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৪ হাজার স্কয়ার ফুটের নয় ২৪শ স্কয়ার ফুটের বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তিনি নকলনবিশ, মোহরার পদ থেকে পদোন্নতি নিয়ে অফিস সহকারী পদে প্রায় ৩০বছর চাকুরী করছেন। নিজের ২ ছেলেও শ্যামনগর রেজিষ্ট্রি অফিসে নকলনবিশ পদে চাকুরী করছে। অবসরে যাবেন ২০২৭ সালে। দীর্ঘ চাকরি জীবনে একটি বাড়ি করতে পারা কোন অপরাধ নয় বলে মনে করেন তিনি।