সমাজের কথা ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া এটা সম্ভব নয়। কারণ, তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু তাঁর সাজা স্থগিতের মেয়াদ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হচ্ছে।
সচিবালয়ে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়া একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর কথা চিন্তা করে দণ্ড স্থগিত করে বাসায় থেকে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ডাক্তার ও উন্নত একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, এখানে আইনগত জটিলতা রয়েছে। সেখানে হয়তো আদালতের অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে সেটা আইনমন্ত্রী ভালো জানেন। সে ক্ষেত্রে আইনের বাইরে আমাদের মন্ত্রণালয় কোনো কিছু করতে পারে না।
এ বিষয়ে তারা (খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে) কোনো আবেদন করেছেন কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন আসেনি। এ রকম আবেদন এলে কী হতে পারে, সেটা আপনাদের বলার চেষ্টা করেছি।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের আবেদন তারা প্রতিবারই করেন— এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবারই তারা আবেদন করেন, আমরা যতটুকু মঞ্জুর করতে পারি, সেটুকুই আমরা মঞ্জুর করে দিচ্ছি। এর পর করতে হলে আদালতে যেতে হবে। আমরা আদালতের বাইরে যতখানি করতে পারি, সেটুকু করছি। আমি এর থেকে আর বেশি কিছু বলতে পারব না।
এদিকে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে সরকার, তাঁর পরিবার ও আইনজীবীদের মধ্যে আলাপ—আলোচনা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।