আব্দুল জলিল, সাতক্ষীরা: বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, মানুষের সেবা করার মহান ব্রত নিয়ে যারা কাজ করে তারা মহামানব। মানুষ থেকে মানব হতে হয়। মানুষকে দিতে না পারলে মহামানব হওয়া যায়না। খানবাহাদুর আহ্ছানউল¬া তাঁর জীবনের সবকিছু মানুষকে দিয়ে গেছেন, তাই তিনি আজ মহামানব হয়েছেন। তার উদ্দেশ্য আর আদর্শ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে একটি আদর্শ সমাজ গড়া সম্ভব হবে। খানবাহাদুর আহ্ছানউল¬া ইসলামের পরশমানিক পেয়েছিলেন। খান বাহাদুর আহছানউল¬া সৃষ্টার ইবাদত, সৃষ্টির সেবা এই মহান ব্রত নিয়ে কাজ করে গেছেন।
খানবাহাদুর আহছানউল¬াকে নারী শিক্ষা জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে উলে¬খ করে ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন আরও বলেন ১৯১৬ সালে ফয়জুন্নেছা নামের তৎকালীন এক ছাত্রীকে স্কলারশিপ দিয়ে লন্ডনে পাঠিয়ে ছিলেন। শনিবার বেলা ১১ টায় নলতা রওজা শরীফ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হজরত খান বাহাদুর আহ্ছানউল¬ার ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি'র সভাপতিত্বে ও খান বাহাদুর আহ্ছানউল¬া ইন্সটিটিউটের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন, অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান। সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, খানবাহাদুর আহ্ছানউল¬া ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এ এফ এম এনামুল হক, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ সেলিমউল¬া, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শওকাত আরা হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা।
প্রসঙ্গত, অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম নেপথ্যের কারিগর ছিলেন খানবাহাদুর আহ্ছানউলল¬া(র.)।