২০শে মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
খাদ্য শস্যে পূর্ণ যশোরের ৪৫টি গুদাম
খাদ্য শস্যে পূর্ণ যশোরের ৪৫টি গুদাম

বিশেষ প্রতিনিধি : খাদ্য শস্যে পূর্ণ যশোরের ৪৫টি খাদ্যগুদাম। ২০ হাজার ৪শ’ টন ধারণক্ষমতার খাদ্যগুদামে চাল মজুদ আছে ১৫ হাজার ১০৬ টন ও গম আছে ৪৯১ টন। যশোরের জন্য বরাদ্দ আরও ১৮শ টন গম মোংলা বন্দরে খালাসের অপেড়্গায় রয়েছে। গুদামে জায়গা না থাকায় গমগুলো খালাস করা যাচ্ছে না। রোববার অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙকলা কমিটির নিয়মিত সভায় জেলা খাদ্য অফিসের পড়্গ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সার ও বীজ কমিটির সভায় সারের ঘাটতি নেই বলেও জানানো হয়। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এ সভা হয়।


সভায় জানানো হয়, চলতি মাসের ওএমএসসহ অন্যান্য সরকারি বরাদ্দের জন্যে প্রয়োজনীয় গম মিলাররা উত্তোলন করেছেন। চলতি মাসে ইতোমধ্যে ১৫৪ মেট্রিকটন গম উত্তোলন করে করেছে চুক্তিকৃত ৪টি মিল। মিলাররা গম থেকে আটা তৈরি করে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সরবরাগ করে। বর্তমানে জেলায় ওএমএস এর আওতায় ২৪ টাকা কেজি দলে দৈনিক ১২ টন আটা বিক্রি করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সরকারি-আধাসরকারি বাহিনীর সদস্যদের সরকার নির্ধারিত নিয়মেও আটা সরবরাহ করে জেলা খাদ্য অফিস। সে হিসেবে যে গম রয়েছে তার সাথে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ১৮শ টন গম গুদামে জমা হবে। এই গম জমা হওয়ার পর পরবর্তী ধাপের গমও মোংলা বন্দরে খালাসের অপেড়্গায় রয়েছে।


জেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিত্যানন্দ কুন্ডু জানান, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জন্যে রাশিয়া, ইউক্রেন ও ভিয়েতনাম থেকে পর্যাপ্ত গম এসেছে। মজুদের স্থানাভাবে তা খালাসে বিলম্ব হচ্ছে। তাদের বিভাগের পড়্গ থেকে বিভিন্ন জেলায় অনুত্তোলিত অন্যান্য খাতের বরাদ্দকৃত খাদ্য উত্তোলন করে মজুদের জায়গা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, যশোর সদরের জন্যে প্রতিমাসে ১২শ মেট্রিক টন গম লাগে এবং পুরো জেলায় প্রায় ১৮শ টন গম লাগে। সে হিসেবে গমের কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা গম দিয়ে আগামী ৩ মাস আটার সম্পূর্ণ চাহিদা মেটাতে সড়্গম হবে জেলা খাদ্য অফিস।


এ দিকে, জেলা সার ও বীজ মনিটরিং সভায় জানানো হয়, জেলায় বোরো মৌসুমে সারের কোনো সংকট নেই। জানুয়ারির শেষ থেকে মার্চ মাস পুরো সময় সারের চাহিদা থাকবে ব্যাপক। কারণ বোরো রোপনের ১/১২ দিন পর থেকে ইউরিয়াসহ অন্যান্য সার প্রয়োজন কৃষকদের। তবে যশোর জেলায় ৩ মাস চলার মতো সার রেডি আছে। সভায় জানানো হয় জেলায় এবার ১ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লড়্গ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ চাষ শেষ হয়েছে।

সরিষার কারণে কিছু জমি এখনো চাষযোগ্য হতে সময় লাগছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরম্নল হক জানান, এই বোরোর জন্যে জেলায় ইউরিয়া মজুদ আছে ৩ হাজার টন, উত্তোলন যোগ্য আছে ৭ হাজার টন এবং বাফার গুদামে পাইপ লাইনে রয়েছে ২৫ হাজার টন । একইভাবে টিএসপি মজুদ রয়েছে ১ হাজার ১শ টন, উত্তোলন যোগ্য রয়েছে ১ হাজার ৮শ টন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram