নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর (যশোর) : মণিরামপুরের পাতানো নিয়োগ বোর্ড বন্ধে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। উপজেলার খাটুয়াডাংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২জনের নিয়োগকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
এনায়েত বিশ্বাস নামে একজন বাদী হয়ে আদালতে মামলা করলে আদালত নিষেধাজ্ঞা দেন।
অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ৪ দিন বাকি থাকায় সহকারী প্রধান শিক্ষক ও আয়া দুই পদের বিপরীতে ২৭ লাখ টাকা নিয়ে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ বোর্ডের পাঁয়তারা চলছিল।
এ কারণে বাদী রোববার জেলা প্রশাসক ও মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও লিখিত অভিযোগ করেন।
<< আরও পড়তে পারেন >> যবিপ্রবি : অর্গানোগ্রাম অনুমোদন ছাড়াই নিয়োগ, হচ্ছে স্বজনপ্রীতি ও অর্থবাণিজ্য
জানাগেছে, এ বিদ্যালয়ে সহকারী পদের জন্যে আ¤্রঝুটা গ্রামের পলাশ সিংহ নামের এক ব্যক্তির নিকট থেকে অগ্রীম ১৫ লাখ এবং আয়া পদের জন্যে খাটুয়াডাংগা গ্রামের এক নারীর নিকট থেকে অগ্রীম ১২ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন প্রধান শিক্ষক হযরত আলী এবং আব্দুর রশিদ নামে এক ব্যক্তি।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। ম্যানেজিং কমিটি গঠন ও পাতানো এ নিয়োগ বন্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং দেওয়ানী ৭৭২/২১। আদালত গত ১৮ অক্টোবর নিয়োগ স্থগিত রাখার জন্যে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আগামী ১৬ নভেম্বর শুনানির দিন রয়েছে ।
<< আরও পড়তে পারেন >> যবিপ্রবি : নিয়োগ বাণিজ্য—অনিয়ম নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে
বাদী এনায়েত বিশ্বাস সাংাদিকদের জানান, নিয়োগ বন্ধে অভিযোগ ও মামলা দায়ের করায় তাকেসহ স্বজনদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি এবং হুমকি—ধামকি দেয়া হচ্ছে। এ কারণে তিনি নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে প্রধান শিক্ষক হযরত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নামমাত্র প্রধান শিক্ষক। আমি একটি মহলের কাছে জিম্মি। এছাড়া বিদ্যালয়ের স্বার্থে ১৫ শতক জমির বিনিময়ে আয়া পদে খাটুয়াডাংগার ওই মহিলাকে নিয়োগ দিতে হচ্ছে।