খুলনা প্রতিনিধি : খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। নাম আর পদ-পদবীর সাথে পরাজয় শব্দটি নেই বললেই চলে। যখন যেখানেই লড়েছেন সেখানেই বিজয় অর্জন করেছেন। আর এর সবই সম্ভব হয়েছে তার সততা, কর্মদক্ষতা ও ন্যায় পরায়ণতার কারণে। পূর্বের ধারাবাহিকতায় আসন্ন কেসিসি নির্বাচনে আবারো তিনি মেয়র নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদী তার কর্মী-সমর্থকরা। সেইসাথে খুলনা মহানগরীর উন্নয়ন তরান্বিত করতে তালুকদার আব্দুল খালেকের বিকল্প নেই বলে সচেতন ভোটারদের বিশ্বাস। ভোটের পাল্লা ভারী করতে ছুটছেন ক্লান্তহীনভাবে। তার বিজয় নিশ্চিত করতে বসে নেই দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। দিন-রাত এক করে দলে দলে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুজিত অধিকারী বলেন, তালুকদার আব্দুল খালেক একজন সৎ ও পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ। তিনি মেয়র থাকাকালে নগরীর ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এখনো নগরজুড়ে সড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে খুলনার চিত্র বদলে যাবে। আর এর সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আছে বলে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং খুলনার সার্বিক উন্নয়ন ও অসামপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে খুলনাবাসী উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে তালুকদার আব্দুল খালেককে বিজয়ী করবেন।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ফরিদ আহমেদ বলেন, খুলনার উন্নয়নে তালুকদার আব্দুল খালেকের বিকল্প নেই। তার সততা, কর্মদক্ষতা ও ন্যায় পরায়ণতার কারণে চারবার সংসদ সদস্য ও দু’বার মেয়র নির্বাচিত হন। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন সুনামের সাথে। এবারের নির্বাচনেও জনগণ তার যোগ্যতা বিচার-বিশ্লেষণ করে নৌকায় ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করবেন। কারণ নৌকা হলো উন্নয়নের প্রতীক। যতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ বলেন, বাগেরহাটের রামপালে জন্মগ্রহণ করা মানুষটি তালুকদার আব্দুল খালেক। রামপালে জন্মগ্রহণ করলেও বড় হয়েছেন খুলনার মাটিতে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তিনি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি দেশ মাতৃকার টানে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি, শ্রমিক লীগের সভাপতি, আওয়ামী লীগের তিনবার সাধারণ সম্পাদক এবং তিনবার সভাপতি হিসেবে পালন করেছেন। এখনো খুলনার ঞাল ধরে আছেন।
অপরদিকে তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রশাসনিক কাজে নিজেকে দক্ষ করেছেন। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কঠিন সময়ে তিনি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। তার অতীত অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি খুলনা সিটি করপোরেশন চালিয়েছেন। তিনি মেয়র থাকাকালে নগরীর ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। সিটি কর্পোরেশনের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। তার সততা কর্ম দক্ষতায় খুলনার মানুষ অভিভূত।
দলীয় সূত্র থেকে জানগেছে, কর্মবীর তালুকদার আব্দুল খালেক ১৯৫২ সালের ১ জুন বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার মল্লিকেরবেড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলজীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের প্রায় পুরো সময়ই কেটেছে খুলনায়। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত খুলনা পৌরসভার মহসিনাবাদ ইউনিয়নের কমিশনার হিসেবে জনপ্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে মেয়র পদে তিনি বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের মে মাসে কেসিসি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তালুকদার আব্দুল খালেক।