সমাজের কথা ডেস্ক : দিনাজপুরের নারী উদ্যোক্তা জয়তুন নাহার জ্যোতি। এক সময়ের মোবাইল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এখন পরিবারকে সময় দিয়ে হাতের তৈরি কেক বিক্রি করে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করছেন। তার বাড়ি দিনাজপুর শহরের পাহাড়পুরে। স্বামী—সংসার ও দুই সন্তান নিয়ে এখন ভালই আছেন এই গৃহিণী।
দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর একটি মোবাইল কোম্পানিতে চাকরি জীবন শুরু করেন। পাঁচ বছর চাকরি করার পর স্বামী ও দুই সন্তানকে সময় দিতে মোবাইল কোম্পানির চাকরিটি নিয়মিত করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই এক সময় মোবাইল কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দিয়ে কেক তৈরির প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষ করেন জ্যোতি।
<< আরও পড়তে পারেন >> নিয়মিত কলা খাওয়ার যত উপকারিতা
এরপর আর পিছু তাকাতে হয়নি জ্যোতিকে। এখন প্রতিদিন অনলাইন ও অফলাইনে বিভিন্ন ধরনের কেক এর অর্ডার নেয়া হয়। বিভিন্ন ভেলিভারি প্রতিষ্ঠিানের কর্মীদের দ্বারা কেক এর অর্ডার—সরবরাহ করা হয়। নির্ধারিত তারিখের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জম্ম দিন, বিবাহ বার্ষিকীসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের কেক সরবরাহ করা হয়। এতে করেই প্রতিমাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জ্যোতির পেজ ‘কেক টাউন’ ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এই নারী উদ্যোক্তা জ্যোতি বলেন, আত্মবিশ্বাস, অদম্য ইচ্ছা, মনোবল মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। আমি ঘর সংসার সামলিয়ে নিজেই কেক বানিয়ে বিক্রি করে মাসে ২০/২৫ হাজার আয় করছি।
জ্যোতি আরও জানান,পরিববারের জন্য সুস্বাদু ও ভেজালমুক্ত কেকের চাহিদা পূরণে মূলত কেক তৈরি শেখা। পরে দিনাজপুর গার্লস ক্লাব গ্রুপ, নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এসব পোস্ট করে, ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পেতে থাকি। যদিও চাকরি প্রতি দুর্বলতা প্রথম থেকেই, অনলাইনে কেক বিজনেসের মাধ্যমে চাকরি না করার যে আফসোস সেটা কেটে গিয়েছে।