নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলা শ্রমিক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম আযম খসরম্ন বলেন, দেশের কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ জনগণ হলো নৌকার যাত্রী, আর নৌকার মাঝি হলো শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার মহানায়ক শেখ হাসিনা। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আমাদের আশা আকাঙ্খার প্রতীক। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন, আমাদের বিশ্ব দরবারে মর্যাদায় আসনে বসিয়েছেন।
শনিবার বিকেল ৩টায় জেলা পরিষদের মিলনায়তনের প্রথম অধিবেশনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে একথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর থেকে নেতাকর্মীরা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ¯েস্নাগান দিয়ে জেলা পরিষদের মিলনায়তনে একাত্রিত হন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা করে। বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের এগিয়ে যাওয়াকে বাধাগ্র¯ত্ম করতে পারবে না।
যশোর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, এ সম্মেলন ভন্ডুল করার চেষ্টা করেছে জবেদ আলী ও নাসির উদ্দিন। ‘বেয়াদবদে’র জেলা শ্রমিকলীগের স্থান নেই। তাদের উপযুক্ত শা¯িত্ম দিতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা দেয়ার পর শ্রমিক নেতা মনু মিয়া জীবন দিয়ে ছয় দফাকে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। সেই শ্রমিক সংগঠনকে কলঙ্কিত করতে দিতে পারি না। সব কলঙ্কিতদের সংগঠন থেকে বের করে দিতে হবে। আমরা জামাত-বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করতে চাই। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ শক্তিশালী আওয়ামী লীগ।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করবে। আর ঢাকার পরে যশোরে হবে শ্রমিক লীগের সুসংগঠিত সংগঠন। তিনি আরোও বলেন, কোটা আনন্দোলন নিয়ে জামাত-বিএনপির নতুন ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তবে তাদের বলে দিতে চাই, যে ষড়যন্ত্রই করো না কেন শেখ হাসিনাকে কোনভাবেই ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবা না। ছাত্রলীগ আর যুবলীগকে মাঠে নামালে কোনো আনন্দোলন কারীকে মাঠে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ মানুষ এখন উন্নয়নের দিকে আছে। সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার পরেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কথা ভেবে বিশ্বের এক প্রাšত্ম থেকে অন্যপ্রাšত্ম ছুটে বেড়াচ্ছেন। দেশের মানুষকে ভালো রাখা যায় এই চিšত্মা করছেন। তখনই তার বিরম্নদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র নেমেছে ষড়যন্ত্রকারীরা। তাই আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যাতে করে ষড়যন্ত্রকারীরা কোন সুযোগ না নিতে পারে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন, শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক শহিদ ডাকুয়া, শ্রমিক কল্যাণ বিষয় সম্পাদক লুৎফুর রহমান, টেড ইউনিয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ হোসেন, যশোর জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহানুর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন মাহমুদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যশোর শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু।