৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সম্পাদকীয়
কিশোর গ্যাংয়ের চাঁদাবাজি : চাই কার্যকর পদক্ষেপ
325 বার পঠিত

যশোর জিলা স্কুলের সহকারী শিড়্গক আবুল কাসেম চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন। যারা তার কাছে চাঁদা দাবি করেছে তারা বয়সে সবাই কিশোর। জনাব কাসেশ চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় চাঁদাবাজরা জোর করে তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। বাধ্য হয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ প্রধান অভিযুক্তকে আটক এবং ৫ হাজার টাকাও উদ্ধার করেছে।

থানায় দায়ের করা অভিযোগে শিড়্গক আবুল কাসেম বলেছেন, তিনি শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে তেতুঁলতলা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ৬ ফেব্রম্নয়ারি দুপুর ১২টার দিকে তিনি পৌরসভা উদ্যানের দড়্গণি পাশের একটি টি স্টলে চা পান করতে যান ।

এ সময় ঐ এলাকার কয়েক কিশোর অস্ত্র বের করে তার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তার পকেট থেকে আড়াই হাজার টাকা জোর করে কেড়ে নেয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে ঐ কিশোররা তার বাড়ির সামনে যেয়ে বাকি ৮ হাজার টাকা দাবি করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। বাধ্য হয়ে তিনি বাকি ৮ হাজার টাকা দিয়ে দেন। এই বিষয়টি অন্য কাউকে জানালে তাকে প্রাণে শেষ করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।

দৈনিক সমাজের কথায় প্রকাশিত সংবাদ সুত্রে জানাগেছে, শিড়্গক আবুল কাসেম যাদের দারা চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন তারা সবাই বয়সে কিশোর। তারা ঐ এলাকায় ‘কিশোর গ্যাং’ হিসাবে পরিচিত। মামলার পর পুলিশ প্রধান আসামি সজিবকে বুধবার দুপুরে পৌরপার্কের গেটের সামনে থেকে আটক ও তার কাছ থেকে চাঁদা নেয়া ৫ হাজার টাকাও উদ্ধার করেছে । এরপর পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠান।

যশোর শহরের অনেক এলাকাতেই এই ধরনের অপরাধী চক্র গড়ে ওঠার অভিযোগটি দীর্ঘদিনের। বেশিরর ভাগ ড়্গেেত্রই দেখা যায় এরা বেপরোয়া আচরণ করে থাকে। এবারের ঘটনাটিও তার বড় প্রমাণ। চাঁদা না দেয়ায় এই চক্র শিড়্গক আবুল কাসেমের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং দাবিকৃত বাদবাকি ৮ হাজার টাকাও তাকে দিতে বাধ্য করে।

শহরের অনেক স্থানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু নানা প্রতিকুলতা আর ভয়ের কারণে সাধারণ মানুষ এই ধরনের চক্রের বিরম্নদ্ধে দাঁড়াতে সাহস পায়না। আবুল কাসেম সাহস করে আইনের সহায়তা নেয়ায় একজন আটক হয়েছে এবং তার কাছ থেকে চাঁদা হিসাবে নেয়া ৫ হাজার টাকাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বিষয়টি চেপে গেলে এ খবর কেউ জানতেও পারতো না।

তাই পুলিশ প্রশাসের উচিৎ হবে এই ধরনের চক্রের বিরম্নদ্ধে শহরের পাপড়া-মহলস্নায় নজরদারি বাড়ানো। সেই সাথে এই ধরনের অপরাধ ও অরাধী যাতে আর মাথাচাড়া দিয়ে উটতে না পারে সে ব্যাপারে কার্যকর পদড়্গপে নেয়া। তা না হলে এদের সংখ্যাও যেমন দিনদিন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি শহরে বৃদ্ধি পাবে এদের অপতৎপরতাও।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram