সমাজের কথা ডেস্ক : আগামীকাল রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। প্রতি বছর তিন দিনের সম্মেলন হলেও এবার হবে চার দিনব্যাপী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলন—২০২৪—এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে মাঠ প্রশাসন সম্পৃক্ত বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করবেন। দেবেন গুরুত্বপূর্ণ দিক—নির্দেশনা।
জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ডিসিদের আলোচ্যসূচিতে পবিত্র রমজান মাসে মজুতদার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ করে মাদক নির্মূল করা, ঘুষ—দুর্নীতি বন্ধ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, কৃষি উৎপাদন বাড়ানো ও কৃষিজমি নষ্ট না করা, পরিবেশ ও বন সম্পদ রক্ষা,জলাশয় সংস্কার ও সংরক্ষণ, জেলা পর্যায়ে পর্যটন বিকাশে উদ্যোগ নেওয়া, পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেওয়া, জেলা পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ, সেচ মৌসুমে জ্বালানি সরবরাহ যথাযথ রাখা, শিক্ষায় নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে মনিটরিং জোরদার করা, প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করা ও রাজস্ব বাড়ানোয় সহযোগিতা করাসহ ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য পাবে। বিশেষ করে স্মার্ট প্রশাসন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখাও থাকছে এবারের ডিসি সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রায় ৩৫০টি প্রস্তাবনা জমা পড়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. আমিন উল আহসান বলেন, এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রায় ৩৫০ প্রস্তাবনা এসেছে। এসব প্রস্তাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
জানা গেছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলন উদ্বোধনের পর আধঘণ্টার বিরতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা ও ফটোসেশন হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনার পর দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও এর আওতাধীন সংস্থার সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি সভা পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
চার দিনের সম্মেলনে মোট ৩০টি কার্য অধিবেশন থাকবে। এছাড়াও থাকবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনা, জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ। চার দিনের কার্যদিবসের এক ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন জেলা প্রশাসকরা। রাষ্ট্রপতি দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে কোনো ধরনের আয়োজন রাখা হয়নি।
প্রথম দিন বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে মূল কার্য অধিবেশন। এসব অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। প্রতিটি অধিবেশন হবে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক। সেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত অধিবেশনের মাধ্যমে মূল অধিবেশন শুরু হবে, যা দ্বিতীয় অধিবেশন হিসেবে গণ্য হবে। তৃতীয় অধিবেশনে থাকবে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত। চতুর্থ অধিবেশনে থাকবে সমাজকল্যাণ, যুব ও ক্রীড়া এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিয়ে। পঞ্চম অধিবেশনে থাকবে ‘উন্নয়নে মাঠ প্রশাসন’ শীর্ষক আলোচনা।