নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর কালেক্টরেট চত্বরে রক্ষিত মামলার আলামতের (যান-বাহনের) মধ্যে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু মশার অস্থিত্ব পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কীটতত্ত্ববিদ আমিনুল হকের তত্ত্বাবধানে একটি টিম অভিযান চালিয়ে স্থানটি এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র হিসেবে সনাক্ত করেন।
একই সময় জেলা বিএমএ ও স্বাচিপের পক্ষ থেকে ৫শ ডেঙ্গু পরীক্ষা কিট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জেলায় গত ২৪ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুরোগে নতুন করে ১৪জন আক্রান্ত হয়ে। যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১১জনের শরীরের নতুন করে ডেঙ্গুর উপসর্গ পাওয়া গেছে। জেলার অন্যান্য হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ২১জন।
হাসপাতালের ডেঙ্গু কর্নারের ইনর্চাজ হাসি আরা বেগম জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে ১১জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৭জন পুরুষ ও ৪জন মহিলা রোগী রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ২৮জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত ২৪ঘণ্টায় (অথাৎ বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুরোগে নতুন করে মহিলাসহ ১৪জন আক্রান্ত হয়ে। এর মধ্যে জেনারেল হাসপাতালে ১১জন, ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১জন এবং মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের ১০তারিখ সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৫৯জন। এর মধ্যে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৮১জন। বর্তমানে জেলায় ৭৮জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে সিভিল সার্জন অফিসের কীটতত্ত্ববিদ আমিনুল হক জানান, প্রশাসনের নিদের্শনায় বৃহস্পতিবার জেলা কালেক্টরেট চত্বরের মাল খানায় পরিত্যক্ত যান বাহনে অনুসন্ধান চালানো হয়। যানবহনের মধ্যে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুর অস্থিত্ব মিলেছে। এটি মশার উর্ব্বর প্রজননক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এগুলো নষ্ট করার জন্য সুপারিশের জন্য জেলা সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করা হবে। পরে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে প্রজননক্ষেত্র নষ্ট করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।