নয়ন খন্দকার, কালীগঞ্জ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার থেকে চৌগাছা যাওয়ার প্রধান সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ৩ কিলোমিটার মেটেই চলাচলের উপযোগী নেই। সড়কে ছোট-বড় গর্ত হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে এবং রাস্তায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগর চরমে পৌঁছেছে। বর্ষায় অথবা শুকনোর সময় কোনো যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলচল করতে পারছে না। সড়কটি বারোবাজার হয়ে হাকিমপুর, যশোর, চৌগাছা ও কোটচাঁদপুর যাওয়ার একমাত্র সড়ক।
রাস্তাটি অত্যন্ত ব্যস্ততম, বিশেষ করে বেলাট, সাদিকপুর, সাতগাছিয়া বারেক মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য মানুষের নিত্য দিনের চলাচল করার জন্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাসহ মালবাহী ট্রাক, ছোট-বড় বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। ভাঙ্গারাস্তার কারণে প্রায়শই বিভিন্ন দুঘর্টনা ঘটছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় কৃষকদের মাঠের ফসল তোলা থেকে শুরু করে সব ধরনের চলাচলেভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
উল্লেখিত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে গেছে অনেক আগেই। এখন সেখানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দের। ফলে সড়কে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃষ্টি হলে পানি জমে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। এই সড়কে সাধারণ মানুষের ও যানবাহনের বেহাল দশা প্রায় পাঁচ বছর ধরে, কিন্তু সংশি¬ষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা এ সড়কটি মেরামত না করায় সমস্যা আরও বাড়ছে। বর্ষায় পানি জমছে, শুষ্ক সময় ধুলোয় পরিপূর্ণ।
বারাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক রফিকুল ইসলাম বলেন, বারবাজারের পর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত রাস্তা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়েই কাদা পানি জামা কাপড়ে লাগিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করছে। বেহাল দশা সড়কের কারণে স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা নিয়মিত তাদের প্রতিষ্ঠানে আসতে পারে না।
ইজিবাইক চালক ফারুক হোসেন বলেন, গাড়িতে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময়, যাত্রীদের গালমন্দ আর গাড়ির ক্ষতি মেনে ওই পথ দিয়েই গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম। তবে মাস দুই ধরে রাস্তাটি এতই খারাপ হয়েছে ইজিবাইক, ভ্যান, আলমসাধু, পিকআপ, ট্রাক চলাচল করতে পারছে না। অনেকে আছে এ রাস্তায় তারা গাড়ি চালাতে চাচ্ছেন না, তাই গাড়ি চলাচল অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
রাস্তার এ বেহাল দশার ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়কটি আরসিআইপি প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে। সংস্কারের জন্যে অনুমোদন হলে সড়কটির কাজ শুরু হবে।