সমাজের কথা ডেস্ক : শহরে বাসায় বসে টিভিতে দেখে বন্যায় কষ্টে থাকা মানুষের অবস্থার কিছুটা চিত্র দেখা যায় কেবল। কিন্তু তাদের কষ্টটা উপলব্ধি করতে হলে তাদের কাছাকছি যেতে হয়। তখন তাদের চূড়ান্ত কষ্টের চিত্রটা দেখার মাধ্যমে সঠিক উপলব্ধিটা আসে। সম্প্রতি চাঁদপুরের বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ দিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। সেখান থেকে ফিরে এমন উপলব্ধির কথাই জানালেন অভিনেত্রী।
দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর হাসিনা সরকার পতনের পর নতুন এক বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখায় অন্তবর্তকালীন সরকার। ঠিক সেই সময়েই ফেনি, লক্ষীপুর, চাঁদপুর ও কুমিল্লায় দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। যাতে ওই অঞ্চলের মানুষদের জীবন হয়ে উঠে বিপর্যস্ত। বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর এই এলাকার মানুষরা আরও ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।
এ বন্যাতে চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর এলাকায়র মানুষদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও কম নয়। তাদের পাশে দাঁড়াতেই এক ভোরে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে ছুটে যান অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। সেখানে অথেনটিক কসমেটিকস ও হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠান ‘রিমার্ক হারল্যান’ এর পক্ষ থেকে শত শত মানুষের মাঝে বিলি করেন ত্রাণ সহায়তা।
ঢাকায় ফিরে এই নায়িকা চাঁদপুরে দুর্ভোগে থাকা মানুষের কষ্টের কথা বর্ণনা করলেন। জানালেন নিজের উপলব্ধির কথা। মিম বলেন, ‘রিমার্ক হারল্যানের পণ্য অরিস্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমি। প্রতিষ্ঠানটি শুধু ব্যবসাই করে না। মানুষের জীবন মান উন্নত করতে নানাবিধ কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠানের হয়েই ত্রাণ দিতে যাই চাঁদপুরে। গিয়ে মানুষের দুর্বিসহ কষ্টের জীবন দেখে চোখে পানি চলে এসেছিল। ঢাকায় কত শান্তিতে রয়েছি আমরা। অথচ এখানকার মানুষরা কতটা কষ্টে জীবন যাপন করছেন।’
‘ত্রাণ নিয়ে যখন ভোরের দিকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই তখনও ভাবনায় ছিল না সেখানকার মানুষ এতোটা কষ্টে রয়েছে। ভালো পরিবারও বন্যায় সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে বসে আছেন। ঠিকমত খাবারটাও খেতে পারছেন না। এসব চিত্র দেখার পর আমার তাদের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হয়েছে। আগামীতেও দেশের যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানের তীব্র প্রেরণা পেয়েছি।’
মিম বলেন, খুশির কথা হচ্ছে দেশের এমন দুর্যোগে পুরো দেশের মানুষরা যেভাবে কাধে কাধ রেখে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তা সত্যিই মুগ্ধকর ও আশাজাগানিয়া। আমার বিশ্বাস আগামীর বাংলাদেশ ভালো মানুষদের হাত ধরে বহুদূর এগিয়ে যাবে।
এদিকে নতুন কাজের খবর জানতে চাইলে মিম বলেন, দেশ নতুন একটি অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন কাজ শুরু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তবে মিম অভিনীত 'দিগন্তে ফুলের আগুন' ছবিটি কাজ প্রায় শেষ।
ওয়াহিদ তারেক পরিচালিত ছবিটি কবে মুক্তি পাবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেননি মিম।