নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে আওয়ামী লীগের দু’টি কর্মী সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার বলেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। তার প্রমাণ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ বলেই জেলা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। আগামীতেও এই একতা ধরে রাখতে ও সুদৃঢ় করতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই দুই নেতা।
শুক্রবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় যশোর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বেজপাড়া তালতলা মোড়ে এবং সার গোডাউন মোড়ে এই দু’টি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ¯েস্নাগানে দিয়ে শত শত নেতা কর্মী সভাস্থলে এসে প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের গুরম্নত্বপূর্ণ বক্তব্য শোনেন।
কর্মী সভায় প্রধান অতিথি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, বিএনপি-জামায়াত দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। ওরা বলে-পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। কিন্তু বাংলাদেশে আর পঁচাত্তর ফিরে আসবে না। পনেরো আগস্ট ঘটতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ষড়যন্ত্রের বিষ দাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আরও বলেন, অনেকে বলে ভোট হয়ে গেলে আর প্রার্থীর লোকজনকে খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা কিন্তু হারিয়ে যাইনি। আমরা বারবার আসবো, সকল সমস্যার সমাধান দিবো। কয়েকজন যশোর জেলা আওয়ামী লীগকে ড়্গতি করার ষড়যন্ত্র করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শক্ত হাতে তা প্রতিহত করবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ। তার প্রমাণ মেলে ৫জুন সদর উপজেলার নির্বাচনে তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু’র বিজয়ের মাধ্যমে। আগামী পৌরসভার নির্বাচনেও জেলা আওয়ামী লীগ সৎ যোগ্য প্রার্থী দিবে, তাকেও বিজয়ী করবেন বলে আশা রাখি।’
কর্মী সভায় প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনকে বিএনপি বয়কট করে লিফলেট বিতরণ করেন। যাতে ভোটররা ভোট না দেয়। সাধারণ ভোটররা ষড়যন্ত্র রম্নখে দিয়ে ভোটের মাঠে এসে আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে। এরপর উপজেলা নির্বাচন এলো; বিএনপি সেখানেও বললো এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনারের অধীনে নির্বাচন করবে না।
৫ জুন সদর উপজেলার নির্বাচনের আগে ৩০ মে ছিল খুনী জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। সেই মৃত্যুবার্ষিকীতে এক সন্ত্রাসীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তারা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলো। তারা ঢাকা থেকে নেতা এনে নির্বাচন বয়কটের লিফলেট দেয়, আর গোপনে ঘোড়া মার্কার ভোট করে। এদের কাছ দেশ নিরাপদ নয়; তাদের কথা ও কাজের কোনো মিল নেই; কথার কোন দাম নেই। ওরা প্রতারক।
শাহীন চাকলাদার আরও বলেন, খুনি জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া এদেশের জনগণের উপর জগদ্দল পাথরের মত বসেছিল। বিএনপি বিদেশীদের সাথে প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা বিদেশীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বেজপাড়া তালতলা মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম মো¯ত্মফার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হারম্ননুর রশিদ, পৌর আওমী লীগের সভাপতি অ্যাড. আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, সদর উপজেলার ভাইসচেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, পৌর কাউন্সিলর আলমগীর কবীর সুমন।
পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য রবি মোলস্নার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, সদস্য আনোয়ার হোসেন মো¯ত্মাক, সামির ইসলাম পিয়াস, নেতা রেজাউল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবদুর রউফ পিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিফাতুজ্জামান রিফাত, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
এর আগে সার গোডাউন মোড়ে কর্মীসভায় ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক নুরম্নল ইসলাম’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পৌর আওমী লীগের সভাপতি অ্যাড. আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সামির ইসলাম পিয়াস, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, পৌর কাউন্সিলর আলমগীর কবীর সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, নেতা নুরম্নল ইসলাম নুরম্ন, নুরম্নল ইসলাম কাজল প্রমুখ।