বুধবার কমরেড হেমন্ত সরকারের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি এদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম প্রবীণ নেতা, বাংলাদেশের কৃষক আন্দোলন তথা ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে নিবেদিত এ প্রাণ ছিলেন।
তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের পক্ষ থেকে সকাল ১০ টায় নড়াইল জেলার সদর থানার বড়েন্দার গ্রামে সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বিকেল ৩ টায় যশোর দড়াটানা শহীদ চত্বরে কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তোজাম্মেল হোসেন।
উলে¬খ্য, প্রয়াত কমরেড হেমন্ত সরকার ১৯৯৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ৮২ বছর বয়সে নড়াইলে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯১৬ সালে নড়াইল জেলার সদর থানার বড়েন্দার গ্রামে এক গরীব কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিক তে-ভাগা আন্দোলনে তিনি দৃষ্টান্তমূলক ভ‚মিকা রাখেন। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে গ্রেপ্তার হন। ’৬০ এর দশকে বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলনে ক্রুশ্চেভ সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ভ‚মিকা রাখেন। পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) এর যশোর জেলা পার্টি পুনর্গঠনে ভ‚মিকা রাখেন এবং যশোর জেলা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে সশস্ত্র সংগ্রামের লাইন গৃহীত হলে তিনি তা বাস্তবায়নে ভ‚মিকা রাখেন এবং ১৯৭১ সালে পার্টি পরিচালিত বিপ¬বী যুদ্ধে তিনি নেতৃত্বদানকারী ভ‚মিকা পালন করেন। বিভিন্ন সংগ্রামে, বিপ্লবে পার্টিতে ও কেন্দ্রীয়ভাবে বিভিন্ন ভ’মিকা রাখেন। ১৯৮৪ সালে তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন। ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত ৭ম কংগ্রেসে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পুনঃনির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ৮ম কংগ্রেসে তিনি কন্ট্রোল কমিশনের সভ্য নির্বাচিত হন এবং কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। নবম কংগ্রেসের পর বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ও অন্যান্য কারণে মৃত্যু বরণ করেন। সে সময় তিনি কেন্দ্রীয় পর্যায়ের পার্টির সভ্য ছিলেন।- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি