নিজস্ব প্রতিবেদক :
কপোতাক্ষ নদ খননের ২য় পর্যায়ে অনিয়ম অব্যবস্থাপনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন। সোমবার (৭ নভেম্বর ২০২২) দুপুরে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক অনিল বিশ্বাসের পক্ষে ঝিকরগাছা উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহিম।
সংবাদ সম্মেলনে নদ খননের পরিস্থিতি তুলে ধরা বলা হয়, কর্র্ম এলাকায় জনসমক্ষে সাইনবোর্ড প্রদান না করা, চাপাচাপির ফলে কোথাও কোথাও দিলেও তা স্থাপন করা হয়েছে জনচলাচলের আড়াল করে। খননের দৈর্ঘ্য প্রস্থের মাপের বিষয় জনগণ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অগোচরে রাখা হচ্ছে। নদের কাটা মাটি নদীর পাড়ে ফেলা হচ্ছে না, ফেলা হচ্ছে নদী গর্ভেই। যা বর্ষায় নদীকে আবার ভরাট করে ফেলবে। ফলে নদী খালে রুপান্তরিত হচ্ছে। সরকার গৃহিত নদী তট আইন লঙ্ঘন করে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হচ্ছে। অবৈধ দখলদারদ উচ্ছেদের বিপরীতে তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। খনন মাপ অনুযায়ী হচ্ছে না- তা জনগণ সাদা চোখে অনুভব করতে পারছে। উজানে মাথাভাঙ্গা ভৈরব নদী সংযোগের গৃহিত প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
এর পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনদফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হলে, প্রস্তাবিত উজানে নদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পাখিমারা বিলে টিআরএম চালু। নদী তট আইন কার্যকর করে নদী তটের বাইরে খননের মাটি ফেলতে হবে। সে মাটি চাষের জমিতে ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। প্রকল্প এলাকায় কাজের তদারকির জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, আন্দোলনকারী সংস্থা ও স্থানীয় জনগণকে সংশ্লিষ্ট করে কমিটি করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, যদি তা না করা হয় তাহলে সরকারের বরাদ্দকৃত টাকা অপচয় লুটপাট শুধু নয়- নদীকে প্রকারান্তরে হত্যা করা হবে।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, কেশবপুর উপজেলা আহবায়ক অ্যাড. আবু বক্কার সিদ্দিকী, বিমল ঘোষ, সুভাস চন্দ্র ভক্ত, জিল্লুর রহমান ভিটু, তসলিম-উর-রহমান, আলাউদ্দিন, পলাশ বিশ্বাস প্রমুখ। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ।