সমাজের কথা ডেস্ক : কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব তৈরি করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। প্রকৃতিকে সমন্বিত করে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পুরো পর্যটন নগরীর চেহারা পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে বলে মনে করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর (অব) মো. নুরুল আবছার। বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে কউকের উদ্যোগে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি কউক কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে কউক সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সোলাইমান ও কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান। সভায় কি—নোট উপস্থাপন করেন কউকের উপপরিকল্পনাবিদ তানভির হাসান রেজাউল।
সভায় কউক চেয়ারম্যান বলেন, কক্সবাজারে যে কোনো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বায়োডাইভারসিটির বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। ৫০ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা থাকতে হবে। এই মহাপরিকল্পনা গত মাসে পাস হয়েছে। আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ডিজিটাল সার্ভে শুরু হবে।
পরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাল্টিপারপাস হলরুমে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কউক চেয়ারম্যান। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সোলাইমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
এ সময় কউকের সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলম, কউক সচিব আবুল হাসেম, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।