নিজস্ব প্রতিবেদক : মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চোর চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারা চা এবং কফির সাথে চেতনা নাশক খাইয়ে চুরি করতো বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ এক লাখ টাকা, দুইটি ইজিবাইক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) বেলাল হোসাইন।
এইদিনই আটক দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে দুইদিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ।
আটককৃতরা হলো, যশোর শহরের বারান্দীপাড়ার বাসিন্দা ঝিকরগাছা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মৃত রফিজ মোল্যার ছেলে আলী রেজা রাজু ওরফে জামাল হোসেন এবং মাগুরার মুহাম্মদপুর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের ইব্রাহিম খানের ছেলে নজরুল ইসলাম খান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানিয়েছেন, ওই চক্রটি ছদ্মবেশে আশপাশের জেলা থেকে যশোরে আসে। এরপর থেকে তারা শহর ঘুরে দেখার জন্য একটি ইজিবাইক ভাড়া করে। তেমনি গত ২১ মার্চ ওই চক্রটি যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার তুষার নামে একজনের ইজিবাইক ভাড়া নেয়। তারা তুষারকে বলেছে নড়াইল থেকে তাদের দুইজন মেহমান আসবে তাদের সাথেই ঘুরে বেড়াবে। মণিহার এলাকায় গিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর যখন না আসে ঠিক তখনই বলছে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের লোক হাসপাতালে। এরপর চালককে নিয়ে একটি দোকান থেকে চা অথবা কফি পান করতে যায়। দোকান্দার কফি তৈরির পরে মুহুর্তে ওই চক্রের একজন হাতে নিয়ে তার মধ্যে ডিসোপ্যান নামে একটি ঘুমের ওষুধ গুড়া করে দিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পরই চালক অচেতন হয়ে পড়লে তারা ইজিবাইক নিয়ে সটকে পড়ে। এই ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় তিনটি মামলা করে ভুক্তভোগীরা।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একাধিক টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই সকল প্রতারকদের অবস্থান ও অপরাধ নির্ণয় করে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে মাগুরার নজরুল ইসলাম খানকে আটকের পর তার কাছ থেকে চোরাইকৃত দুইটি ইজিবাইক এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য ওই মোটরসাইকেলটি যশোর সদর উপজেলার সীতারামপুর গ্রামে শওকত আলী নামে এক ব্যক্তি একটি মসজিদে নামাজ আদায়কালে চুরি হয়। নজরুল ইসলামের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেলটি শওকত আলীর বলে পুলিশ সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছে। গতকাল আটক দুইজনকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করে তদন্ত কর্মকর্তা। বিচারক শুনানী শেষে তাদেরকে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।