অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের ঐতিহ্য ও ব্যবসাসমৃদ্ধ উপজেলার নামা অভয়নগর। আর এই উপজেলায় রয়েছে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা নওয়াপাড়া। সেই পৌরসভা কতৃর্ক প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভৈরব নদ তীর ধরে নির্মাণ করা হয়েছিল মরহুম ডা. আলী আনোয়ার নামের ওয়াকওয়ে। যে ওয়াকওয়ে কাঁচাবাজার থেকে শুরু হয়ে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানা সংলগ্ন ফেরী ঘাটে গিয়ে শেষ হয়েছে।
দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকা ওয়াকওয়েটির সৌন্দর্যবর্ধন ও দখলমুক্তকরণে পৌর কতৃর্পক্ষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ কার্যকরী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ওয়াকওয়েটি পৌরবাসীর জন্য একটি বিনোদন স্থানে পরিণত করা হয়েছে। অথচ এক শ্রেণির অসেচতন মানুষ পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের বর্জ্য ওয়াকওয়ের ওপর ও নদীতে ফেলছে।
সম্প্রতি নওয়াপাড়া পৌর কতৃর্পক্ষ ওয়াকওয়েটি জনগণের চলাচলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করার চেষ্টা করেছে। যে কারণে নওয়াপাড়া বাজার খেয়াঘাট ও ফেরীঘাট পারাপারের পর সাধারণ মানুষ ওয়াকওয়ে ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছে।
সরেজমিনে গতকাল সোমবার সকালে ওয়াকওয়েতে গিয়ে দেখা যায়, এক শ্রেণির অসেচতন কিশোর ও যুবক ওয়াকওয়ের ওপর মোটরসাইকেল চালিয়ে বেড়াচ্ছে।
বিষয়টি দেখে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে জানান, ওয়াকওয়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতো। ওইসব যানবাহন চলাচল বন্ধে সম্প্রতি পৌর কতৃর্পক্ষ ওয়াকওয়ের প্রবেশ মুখে লোহার গ্রীল স্থাপন করেছে।
কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান বলেন, ‘হেঁটে চলাচলের জন্য ওয়াকওয়ে।
যারা মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন ওয়াকওয়ের ওপর দিয়ে চালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।