নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে পরকীয়ায় জড়িয়ে অভিনব কৌশলে স্বামী হত্যায় স্ত্রী আটকের পর প্রেমিক রবিউলকেও গ্রেফতার করেছে র্যাব। বিজ্ঞ আদালতে এই দুই অভিযুক্ত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে দায় স্বীকার করেছেন। বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহমেদের কাছে এরা হত্যার দায় স্বীকার করেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী শেফালী ও র্যাববের কাছে প্রেমিক যুবক রবিউল হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তারা পারস্পারিক যোগসাজসে স্বামী জহির হাসানকে হত্যা করেছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক পুলিশ নিহতের স্ত্রী অভিযুক্ত শেফালী বেগমকে আটক করে। বুধবার (১০ মে) দুপুরে রবিউলকে গ্রেফতার করে যশোর র্যাব। এরপর তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়। ওইদিনই তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
যশোর কোতোয়ালি থানায় প্রেস ব্রিফিং করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, অভিযুক্ত শেফালী বেগম হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। একই দিন বিকেলে র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে জানান, খুনের মোটিভ উদঘাটন হয়েছে। শেফালীর পরকীয়া প্রেমিক গ্রেফতার রবিউল হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন।
নিহত জহির হাসান গাজী বকচর হুসতলা এলাকার মৃত হোসেন আলী গাজীর ছেলে। শান্তা কিন্ডারগার্ডেনের ২য় তলায় তিনি পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। ঘটনার পর র্যাব ও পুলিশ ঘটনার মোটিভ উদঘাটনের চেষ্টা করে সফল হয়েছে। আটক স্ত্রী একই এলাকার মৃত শেখ ওমর আলীর মেয়ে ও তার প্রেমিক শংকরপুরের ভাড়াটে রবিউল।
র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, অভিযুক্ত রবিউল তাদের পরকীয়া প্রেম ও শেফালীর স্বামী জহির হাসানকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই গাজী শাহনেওয়াজ কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৫৫৭/২৩। অভিযুক্ত শেফালী ও রবিউল পারস্পারিক যোগসাজসে হত্যার দায় স্বীকার করায় বেরিয়ে পড়লো হত্যার নেপথ্য রহস্য।
ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, হত্যায় ব্যবহৃত মোবাইল ও মেবাইলের সেই ভাঙ্গা ব্যাটারি, ইনজেকশনে সিরিঞ্জ, ঘুমের ওষুধ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।