নিজস্ব প্রতিবেদক : শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৯২টি কেন্দ্রে এবারের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে রোববার প্রথম দিনের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় ১ হাজার ৮৩৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এবার ২৯২টি কেন্দ্রে এবছর বোর্ডে সর্বমোট ১ লাখ ৫৮ হাজার ১০২ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার কথা। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ২ হাজার ৫৫১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসব পরীক্ষার্থী ছিল। প্রথম দিনের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৮ পরীক্ষার্থী পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে এদিন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬২৪ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি কেন্দ্রে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমদিন কোনো পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়নি। এর পাশাপাশি কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন।
রোববার সকালে যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদশন শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবিব বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ও কোনো ধরনের গুজব এবং অপপ্রচার যেন পরীক্ষায় বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য বোর্ডে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরীক্ষা পরিচালনায় শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব টিম ছাড়াও ১০ জেলায় ১১ ভিজিলেন্স টিম কাজ করছে। এই টিমে সদস্য করা হয়েছে মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষকদের। এ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের ভিজিলেন্স টিম কাজ করছে।
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি জানান, কয়রায় প্রথম দিনের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা শান্তিপূর্র্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মদিনাবাদ মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমাদী তকিম উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গীলাবাড়ি ভিকেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চান্নীরচক এলসি স্কুল এন্ড কলেজ ও সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এই ৫ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় ১৬১৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। এ সকল কেন্দ্রে ১৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে মদিনাবাদ দাখিল মাদ্রাসা, ঘুঘরাকাটি ফাজিল মাদ্রাসা ও উত্তরচক কামিল মাদ্রাসা ৩ টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। এ সকল কেন্দ্রে ২৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। মদিনাবাদ মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৩৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. বাকি বিল্যাহ বলেন, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষার প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মমিনুর রহমান পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আশাশুনি প্রতিনিধি জানান: আশাশুনিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবছর উপজেলায় ৩ হাজার ৬শ ৭৯ জন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ৮ টি কেন্দ্রে থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরীক্ষা নিশ্চিতে পরীক্ষার রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আশাশুনি সরকারি কলেজ, বুধহাটা বিবিএম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বুধহাটা কওছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা, দরগাহপুর এসকে আরএইচ কলেজিয়েট স্কুল, দরগাহপুর সিদ্দিকিয়া আলিম মাদ্রাসা, বড়দল আফতাব উদ্দিন কলেজিয়েট স্কুল, বড়দল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ানুর রহমান ও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মমিনুল ইসলাম।
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগরে এসএসসি, ভোকেশনাল ও দাখিল পরীক্ষার প্রথম দিনে ৬৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। কক্ষপরিদর্শক বা পরীক্ষার্থী বহিষ্কারের কোনো ঘটনা ঘটেনি। গতকাল রোববার উপজেলা প্রশাসন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখার হিসাব অনুযায়ী এ বছর উপজেলার ৮টি কেন্দ্রে এসএসসি, ভোকেশনাল ও দাখিল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৯ জন। এর মধ্যে প্রথম দিনে এসএসসির ২৪ জন, ভোকেশনালে ১ জন ও দাখিলে ৩৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, সুন্দর পরিবেশে অভয়নগরের সকল কেন্দ্রে প্রথম দিনের এসএসসি, ভোকেশনাল ও দাখিল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোনো প্রকার বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেনি।
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি জানান, পাইকগাছায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে ১০টায় উপজেলার ৭টি কেন্দ্র, ২টি মাদ্রারাসা কেন্দ্র, ৩টি ভেন্যু কেন্দ্র ও ১টি ভোকেশনাল কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথমদিনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। কেন্দ্র সচিবদের তথ্য অনুযায়ী প্রথমদিনে পরীক্ষার্থী ছিল ৩হাজার ১২১, যার মধ্যে অংশগ্রহণ করেন ৩হাজার ৪০ পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিল ৮১ পরীক্ষার্থী।