যশোরে সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোথাও তরলীকৃত গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার ২৬৬ টাকা বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার নতুন মূল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা করেছে। কিন্তু সেই গ্যাস যশোরে সাড়ে ১৬ শত থেকে ১৮ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক সমাজের কথায় প্রকাশিত সংবাদে জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বোতলজাত তরল গ্যাসের (এলপিজি) সরকারি দাম ছিল ১ হাজার ২৩২ টাকা। কিন্তু এর ৫/৬ দিন আগ থেকেই গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছিল না যশোরের বাজারে। এ সুযোগে সরকার দাম বাড়ানোর আগেই শেষ ৩ দিন লাফিয়ে লাফিয়ে প্রতি সিলিন্ডারের দাম শতাধিক টাকা বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে যশোর শহরের বকুলতলা মোড়ের এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবসায়ী শিমুল এন্টারপ্রাইজের শরিফুল ইসলামের বক্তব্য হলো, ‘আমরা ব্যবসা করতে আসছি, উল্টোপাল্টা কিছু করার সুযোগ নেই। আমাদের ক্যারিং খরচ ৫০ টাকা এবং লাভ করতে হয় ৫০ টাকা। অতএব ১’শ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতেই হবে।’ তিনি স্বীকার করেন, ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস ১৬’শ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এরপর তিনি গ্যাসের দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। কারণ হিসাবে তিনি বাজারে গ্যাস সংকটের কথা জানান ।
শুধু এলপিজ নয়, সরকার কোন পন্যের দাম বাড়ালে দেখাযায় বাজারে সেই দরে অনেক পণ্যই বিক্রি হয়না। নানা হিসাব আর যুক্তি দাঁড় করিয়ে ব্যবসায়ীরা অধিক দামে সেই পণ্য বিক্রি করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে ক্রেতারা এক প্রকার অসহয় হয়েই ঐ দামে পন্য কিনতে বাধ্য হন।
সরকার যেমন প্রয়োজনে পন্যের মুল্য বৃদ্ধি করে, তেমনি জনগণ যেন ন্যায্য মুল্যে তা কিনতে পারে তার জন্য পদক্ষেপও নেয়। এ জন্য জেলা প্রশাসন ছাড়াও রয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। যশোরে অধদক মুল্যে এলপিজি বিক্রির অভিযোগটি জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিবও অবগত হয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি মাঠে নামবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন।
আমরা অতীতে দেখেছি প্রশাসন মাঠে নামলে জনগন তার সুফল পায়। আবার অভিযানের নামে ‘আইওয়াশও’ দেখেছি। আমরা আশা করবো সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্য মুল্যে এলপিজি কিনতে পারেন, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।