ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানকে সিনেমার বাইরে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হয়ে কাজ করতে দেখা যায়। তবে সেটি খুবই কম। এবার তিনি যুক্ত হলেন রিমার্ক ও হারল্যানের সঙ্গে। ভেজাল পণ্যের স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে ভোক্তাদের মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে যুক্ত হন তাদের সঙ্গে।
এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এমন ঘোষণা দেন শাকিব। বাংলাদেশে রিমার্ক ও হারল্যানের অংশীদারদের একজন শাকিব। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্বে থাকছেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া আকতার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া। এ ছাড়া আরও ছিলেন পরিচালকবৃন্দ— শাহরিয়ার আলম শুভ, ফারিহা আলম প্রভা, আলিসা নাওয়ার ও আবুল বাশার হাওলাদার, হারল্যানের সিইও এমদাদুল হক সরকার এবং চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে শাকিব বলেন, ‘আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অর্গান স্কিনের যত্নে আমরা বিভিন্ন সময় নানান রং ফর্সাকারি ক্রিম ও অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার করি। কিন্তু সেই পণ্যগুলো যদি হয় ভেজাল, তা আমাদের সুন্দর না করে উল্টো ক্ষতি করে। এমনকি স্কিন ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। তাই, জনসাধারণের দুরবস্থার কথা চিন্তা করে, আমি, দেশের বাজারে রিমার্কের মাধ্যমে অথেনটিক কসমেটিকস পণ্য নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এর জন্য হারল্যানের মত দেশের সবচেয়ে বড় অথেনটিক রিটেইল কসমেটিকস চেইনের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত।’
তার ভাষ্যে, ‘এর আগে সিনেমা রিলেটেড ব্যবসা করলেও এর বাইরে এবার এলাম। এখানেও নম্বর ওয়ান হওয়ার চ্যালেঞ্জ আছে। রিমার্ক হারল্যান হবে বাংলাদেশিদের গর্ব। যা উৎপাদিত হচ্ছে বিশ্বের দেশে, মার্কেটিং হচ্ছে। একদিন ওয়ালটনের মতো এটাও নাম্বার ওয়ান হবে।’
সর্বাধিক ব্র্যান্ড নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্কের মাধ্যমে আমদানিনির্ভর কসমেটিকস খ্যাত একটি রপ্তানিযোগ্য শিল্প খাতে রূপান্তরিত হচ্ছে। স্কিনকেয়ার ও কসমেটিকসের ৫০—এরও অধিক ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করছে রিমার্ক। যার মাঝে হারল্যান, সিওডিল, নিওর, লিলি, বে¬ইজ ও স্কিন ইতিমধ্যেই ভোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এক সংবাদ বিবৃতিতে জানানো হয়, সারা দেশের মানুষের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় পণ্য আরও সহজলভ্য করতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে হারল্যানের নিত্যনতুন শো—রুম উদ্বোধন হচ্ছে।