ক্রীড়া ডেস্ক : এতদিন ধরে মাঠের লড়াইয়ে থাকলেও এবার সংগঠক হয়ে আত্মপ্রকাশ করতে হচ্ছে ১৫ বারের দ্রুততম মানবীকে। অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হয়ে সদস্য পদে শিরিন আক্তারের নাম এসেছে। যশোর থেকে বিমানে করে ঢাকায় আসছিলেন দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার। ফোনে ধরা গেলো ঢাকায় আসার পরই। জানালেন আপাতত দ্রুততম মানবী হয়েই থাকতে চাইছেন!
পরের প্রশ্ন এসেই যায়। তাহলে কী সংগঠক ও অ্যাথলেট একাধারে পরিচিতি বয়ে বেড়াবেন? শিরিন হেসেই উত্তর দিলেন এভাবে, ‘আসলে এভাবে কিছু চিন্তা করিনি। আমি তো এখনও অ্যাথলেট। আমাকে ফেডারেশনের সদস্য করা হয়েছে। এটুকু জানি। এখন ঢাকায় এসেছি। ফেডারেশনে খোঁজ খবর নিবো। প্রথম সভা হয়ে বোঝার চেষ্টা করবো। তারপর দেখি কী হয়।’
জাতীয় আসর হলে অবশ্য শিরিন ট্র্যাকে দৌড়াবেন। এটা অকপটে জানিয়ে দিলেন। বর্তমান দ্রুততম মানবীর স্থানটা হাতছাড়া করতে চাইছেন না। তাই বললেন, ‘অনুশীলনের মধ্যে আছি। যেন কোনও গেমস থাকলে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে নামতে পারি, আরও একবার যেন সাফল্য কুঁড়াতে পারি।’
সংগঠক ও খেলোয়াড় একাধারে থাকলে তখন স্বার্থের সংঘাত থাকে। তখন মাঠে আয়োজন করবেন নাকি খেলবেন, দুটো একসঙ্গে করা বেশ কঠিন। শিরিন বলছেন, ‘আসলে এই বিষয়টা এখনও পুরোপুরি ভাবিনি। মাত্র তো কমিটিতে জায়গা হয়েছে। সবার সঙ্গে কথা বলে দেখি। তবে আমি এখনই খেলা ছাড়ছি না। এটুকু বলতে পারি।’
ফেডারেশেনর আরেকজন সদস্য সরাসরি বলে দিয়েছেন, ‘একজন খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় ফেডারেশনে জায়গা করে নেওয়াটা ঠিক হয়নি। অবসর নেওয়ার পর হলে ভালো হয়। তাহলে স্বার্থের সংঘাত হবেই। আমার মনে হয় শিরিনকে আপাতত যে কোনও একটাকে বেছে নেওয়া উচিত। তাহলে ওর জন্য ভালো হবে।’