২৪শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার সমসামিয়ক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
‘উত্তেজনাকর’ বক্তব্য ভারত থেকেও এসেছে

সমাজের কথা ডেস্ক : পরিবেশ নষ্ট হয়, এমন বক্তব্য পরিহার করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানকে ‘ইতিবাচক’ অভিহিত করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, এমন উত্তেজনাকর বক্তব্য না হওয়ায়ই ভালো এবং তা উভয়দিক থেকেই এসেছে।

ব্যাংককে গত সপ্তাহে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে জানানো ওই আহ্বানের বিষয়ে মঙ্গলবার এক প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “উত্তেজনাকর বক্তব্য- আমরা নিজেরাও এই পয়েন্টে একমত। এটা আসলে একতরফাভাবে হয়েছে, তাতো না…হয়ত আমাদের কেউ কেউ বলছেন, সেটা আসলে তখন তাদের না বলাই ভালো; অনর্থক সমস্যা সৃষ্টি করা।

“একই কাজ ভারত থেকেও হয়ে থাকে। আমরা জানি যে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে, আপনারা প্রতিদিনই অত্যন্ত শক্ত সব কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছেন। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ কেউ এটা করেছেন।”

সম্পর্কোন্নয়নের স্বার্থে উভয়পক্ষেরই ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য পরিহারের উপর গুরুত্ব দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এটাও বলেছি বিভিন্ন সময়ে, আসলে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে গেলে, আপত্তিকর কথাবার্তা কোনো পক্ষ থেকেই না বলাই ভালো। আমরা এটাকে সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখছি।”

ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে গত ৪ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বাস্তবতার নিরীখে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী।

তাদের বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘জনগণ-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে’ বিশ্বাস করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দুদেশের দীর্ঘদিনের সহযোগিতা যে বাস্তবিক ফল বয়ে এনেছে, তাও তিনি বিশেষভাবে বলেছেন।

“এই মনোভাব থেকে, বাংলাদেশের সঙ্গে বাস্তবতার নিরীখে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে ভারতের আকাঙ্ক্ষার কথা আবারও অধ্যাপক ইউনূসের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি (মোদী)। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আরও আহ্বান জানিয়েছেন, পরিবেশ নষ্ট করে এমন কোনো বক্তব্য পরিহার করাই সর্বোত্তম।”

‘গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের কথাও বৈঠকে পুনর্ব্যক্ত করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের নির্বাচন এবং ‘উত্তেজনাকর বক্তব্য’ পরিহারের বিষয়ে মোদীর বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।

উত্তরে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে যে কোনো সময়ে কথাবার্তা হয়, তারা কিন্তু বলেন। এই সরকারতো নিজের থেকে বলেছে যে, তাদের যে সকল দায়িত্ব আছে, সেগুলো শেষ করে, যথাশীঘ্রই সম্ভব নির্বাচন দিয়ে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেবে।

“এটা এই সরকারেরও অঙ্গীকার। কাজেই, এটা যদি অন্য কেউ বলেন… এ কথা প্রায়ই উচ্চারিত হয় এবং এমনকি যেসব দেশে হয়ত গণতান্ত্রিক চর্চা নেই, তারাও জানতে চান; এক ধরনের স্থিতিশীলতা, এক ধরনের ভবিষ্যতের ধারণা পাওয়ার জন্য।”

এর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “বিনিয়োগের প্রশ্ন আছে। তারা জানতে চাইতে পারেন যে, কী রকম পরিস্থিতি হবে বা কখন নতুন সরকার আসবে। এটা তাদের নিজেদের স্বার্থে তারা জানতে চাইতে পারেন। আমরা এটাকে সেভাবেই দেখি।”

মোদীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে এটাই প্রথম সাক্ষাৎ ছিল।

“এবং সাক্ষাৎ…আমার কাছে মনে হয়েছে, একটা ইতিবাচক পরিবেশে সাক্ষাৎকারটি হয়েছে। এবং দুপক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো রাখার এবং ভালো করার ওপর জোর দিয়েছেন।”

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram