বাগেরহাট প্রতিনিধি : ঈদ উপলক্ষে দুঃস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিনামূল্যের চাল বিতরণ করা হয়েছে ঈদের তিনদিন পর। বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা বলছেন, আত্মসাতের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে প্রশাসনের চাপে তিন দিন পর বিতরণ করা হয়েছে।
পবিত্র ঈদ উপলক্ষে খানপুর ইউনিয়নে ৯৪৮ জনের জন্য বিনামুল্যের চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। যা ঈদের আগেই বিতরণ করার কথা। কিন্তু কিছু চাল বিতরণের পর ৭২০ কেজি পরিষদের গুদামে রাখা হয়েছিল। রোববার রাতে পরিষদের গুদাম থেকে গোপনে নসিমনযোগে চাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে গেলে স্থানীয় জনতার নজরে পড়ে এবং গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে রাখে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মধ্যরাতেই সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) এম সাইফুল্লাহ ওই ইউনিয়ন পরিষদে যান এবং গুদাম তালাবদ্ধ করে রাখেন। সোমবার দুপুরে গুদাম খুলে সাড়ে ৩০ বস্তা চাল পাওয়া যায়। সোমবার ৭২ জনকে ১০ কেজি করে সেই চাল বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দিন বলেন মাষ্টাররোল অনুযায়ী যারা ঈদের আগে চাল নেয়নি তাদের চাল গুদামে জমা রাখা হয়।
সোমবার ইউপি সদস্য ও চৌকিদারের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুনারায় চাল নিতে আসা ২ নং ওয়ার্ডের তানজিলা বেগম, সুফিয়া বেগম ময়না বেগম ও ৫ নং ওয়ার্ডের রোজিনা বেগম, নুরুন নাহার বলেন ঈদের আগে আমাদের চাল দেয় নি। এখন ধরা পড়ার পর দিয়েছে।
একাধিক ইউপি সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, চেয়ারম্যান তার স্ত্রী (সংরক্ষিত নারী সদস্য)সহ চেয়ারম্যানের আরো ২/১জন সহযোগী মিলে এ কাজ করেছে।
দুস্থদের মাঝে সরকারের দেয়া চাল বিতরণ না করে আত্মসাত করার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মহম উদ্দিন বলেন, আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা সময়মত চাল নেয় নি তাদের টা পরিষদের গুদামে রাখা হয়েছে। আর কিছু না।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বাগেরহাট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) এম সাইফুল্লাহ বলেন তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তশেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান বলেন যে চাল ঈদের আগে দেওয়ার কথা সেই চাল ঈদের তৃতীয় দিনে দেওয়া হলো কেন এটা সবার প্রশ্ন ।