সমাজের কথা ডেস্ক : ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইসরায়েলে পরিচালিত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয় বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকদের পক্ষ থেকে। কিন্তু ইসরায়েল সেদিকে যেতে পারেনি।
হামাসের আক্রমণের পর রোববার ইসরাইলের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শেয়ারমূল্য কমে যায়। হামাসের ছোড়া কয়েকটি রকেট রাজধানী তেল আবিব পর্যন্তও পৌঁছে যায়। ফলে, বিভিন্ন ফ্লাইট বন্ধ করতে বাধ্য হয় ইসরায়েল।
এর বিপরীতে আকাশপথে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে গাজায় শত শত মানুষ হত্যা করেছে ইসরাইল।
বেশ কয়েক দশক ধরে ইসরাইলের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল খাত হল ‘হাই-টেক’ শিল্প, যা রাষ্ট্রটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইসরাইলের সামগ্রিক কর্মীর ১৪ শতাংশ ও স্থানীয় উৎপাদনের এক পঞ্চমাংশে ভূমিকা রাখে এ সেক্টর।
মার্কিন বিনিয়োগ কোম্পানি ‘এলপিএল ফাইনান্সিয়াল’-এর বৈশ্বিক পরিকল্পনা প্রধান কুইনসি ক্রসবি বলেন, ইসরাইলের বিভিন্ন কোম্পানির ভৌত অবকাঠামো রক্ষায় সম্ভবত ‘ব্যাপক প্রচেষ্টা’ চালানো হবে। এর কারণ হল, প্রযুক্তি খাতের কিছু খরচ রাষ্ট্রটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত।
<< আরও পড়ুন >> বাজারে আসছে প্রথম দেশি ইলেকট্রিক গাড়ি
রোববার ইনটেলের মুখপাত্র বলেন, তারা ইসরাইলের বিষয়টিতে গভীরভাবে নজর রাখছেন ও সেখানকার কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এ ছাড়া, ইসরাইলের প্রাইভেট খাতে সবচেয়ে বড় নিয়োগকারী ও রপ্তানিকারকও মার্কিন এই চিপ নির্মাতা কোম্পানিটি।
তবে, এ পরিস্থিতির কারণে ইনটেলের চিপ উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়েছে কি না, সে সম্পর্কে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওই মুখপাত্র।
বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক গ্রাফিক্স চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া বলেছে, তারা আগামী সপ্তাহে তেল আবিবে আয়োজন করতে যাওয়া এআই সম্মেলনে যোগ দেবে না।