হামাস বলেছে, ‘আমাদের লোকজনের ওপর জায়নবাদী আগ্রাসন, গাজায় দখলদারিত্ব, ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ এবং বেসামরিক লোকজনের ওপর চলমান হামলার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে অবস্থান নিয়েছেন, (আমরা) তাকে অভিবাদন জানাই।’
গত বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বেসামরিক লোকজন ‘হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে শূন্যতে নামিয়ে আনতে’ উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। পরে শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একইভাবে শান্তি ফিরিয়ে আহ্বান জানান।
এছাড়া শুক্রবার জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূতের পক্ষ থেকেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়।
তবে ভ্লাদিমির পুতিন এমন সময় গাজায় সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন, যখন তার দেশ রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে তদন্ত করছে।
গত শনিবার হামাস ইসরায়েলে উপর্যুপরি রকেট হামলা চালায়। এতে অন্তত এক হাজার ৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। পরে ইসরায়েল গোটা ‘গাজা উপত্যকা দখলে নেওয়ার’ ঘোষণা দিয়েছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ, পানি, খাবার ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় বিমান হামলাও অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এসব হামলায় অন্তত দুই হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।