নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর ইবনে সিনা হসপিটাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ১৭ মে ‘ইবনে সিনার ভুল রিপোর্টে মৃত্যুমুখে শিশু!’ মর্মে সংবাদ দৈনিক সমাজের কথা প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে শহরময় আলোচনার ঝড় ওঠে। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কোন উদ্যোগ নেয়নি।
এদিকে ওই প্রতিষ্ঠান বারবার ভুল রিপোর্ট দিচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত ১২এপ্রিল তার মায়ের সিবিসি, রুটিন একজামিনেশান অব ইউরিন, লিভার ফাঙ্কশান এবং কিডনি ফাঙ্কাশান টেস্ট করি। কিন্তু সিবিসি ও লিভার ফাঙ্কশানের রিপোর্ট দেখে ডাক্তারের সন্দেহ হয়। তখন ডাক্তার আমার মায়ের এ দুইটি পরীক্ষা নতুন করে করতে বলেন। তখন শহরের ল্যাবস্ক্যান ও জেনেসিস থেকে পরীক্ষা করে দেখা যায় ইনবে সিনার পরীক্ষা ভুল ছিলো।
এভাবে কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও দায়িত্বহীনতার কারনে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ভুল প্যাথলজি রিপোর্ট রোগীদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। যারা সচেতন তারা প্রতিষ্ঠানের ভুল ধরতে পারছেন। আর যারা বোঝেন না তার ভুল রির্পোটের উপরে নির্ভর করে চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে পড়ছেন।
জ্বর ও খাবারের অরুচি নিয়ে ১১ মে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয় ধর্মতলা এলাকার বাবুল আক্তারের মেয়ে তাসনিয়া আক্তার(১২)। তার হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পরীক্ষা পজেটিভ উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি। দুইদিন পর কোন পরীক্ষা ছাড়াই নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়ে আলোচিত হয় হানপাতালটি।
এ ব্যাপারে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক রাসেল জানান, সংবাদটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসিয়াল টেনিংএ বাহিরে থাকায় এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। আগামী রোববার সিভিল সার্জন আসলে তাঁর নিদের্শনা অনুযায়ি তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।