নিজস্ব প্রতিবেদক : জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদান করে আদালতের কাছে ধরা পড়েছেন সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রহিমা বেগম। গতকাল মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত রহিমা সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের ৪.৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য।
এর আগে একটি মামলায় রেজিস্ট্রার নিয়ে চেয়ারম্যান ও ওই সদস্যকে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল নাম ঘোষণা সংক্রান্ত একটি এফিডেভিটের জন্য লেবুতলা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের মৃত চান্দা আলীর স্ত্রী আয়শা বেগমের বর্ণনা মতে একটি ওয়ারিশ কয়েম সনদ আদালতে দাখিল করা হয়। ওই সনদটি দেখে আদালতের সন্দেহ মনে হয়। কারণ ওই সনদে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর, স্বারক নম্বর ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোন কোড নম্বর নেই।
ফলে আদালত তাৎক্ষণিক ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন ও মহিলা মেম্বর রহিমা বেগমকে তলব করেন। তারা স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার পরে মহিলা মেম্বর নিজ হাতে জালিয়াতি করে লিখেছেন বলে স্বীকার করেন। ফলে মৌখিকভাবে এই বিষয়ে মহিলা মেম্বরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন আদালত। একই সাথে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আদালতকে অবহিত করার আদেশ দেয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন বলেছেন, দ্রুতই ইউনিয়ন পরিষদের সভা ডেকে আদালতের নির্দেশনা পালন করা হবে।