ক্রীড়া ডেস্ক : হাতে ৪ উইকেট। জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের রানের প্রয়োজন ছিল ১৩। এমন সমীকরণের ১৯তম ওভারে ক্রিস জর্ডান আসেন বোলিংয়ে। তার প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করে দেন শাšত্ম। এরপর একই ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন তাসকিন আহমেদ।
টাইগারদের এই জয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত হলো বাংলাদেশ। এই বিজয় সব ফরম্যাটের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। জয়ের জন্য ১১৮ রান তাড়া করে ব্যাট করতে নেমে ভাল করতে পারেননি লিটন দাস। মাত্র ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
লিটনের বিদায়ের পর রনি তালুকদারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি । জোফরা আর্চারের বলে ক্যাচ দিয়ে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। এজন্য খরচ করেন ১৪ বল। ২৭ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ায় শঙ্কা বাড়ে বাংলাদেশ শিবিরে। তবে শান্ত-হৃদয় জুটিতে সেই শঙ্কার মেঘ উড়ে যায়। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে দশম ওভারে অর্ধশতক পূর্ণ হয় বাংলাদেশের। তবে এরপর আর বেশি দূর এগোতে পারেননি তরম্নন হৃদয়। ইনিংসের ১১তম ওভারে বোলিংয়ে আসা রেহান আহমেদের দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন তিনি।তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
এরপর মিরাজ এবং শান্তর ৪১ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। যদিও ২০ রান করে মিরাজ সাজঘরে ফিরলে আবারও ম্যাচে ফেরে সফরকারিরা। এরপর দালিয় অধিনায়ক সাকিব তরুণ আফিফ দ্রম্নত আউট হলে পরাজয়ের শঙ্কা দেখা দেয় টাইগার শিবিরে। তবে এক পাশ আগলে রাখা শান্ত সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেন তাসকিনকে সাথে নিয়ে। শান্ত অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ১১৭ রান করে অল আউট হয়।