নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর শহরের আশ্রম রোডে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বোমাবাজির ঘটনায় থানায় একটি পক্ষ মামলা করেছে। গত ১৭ মে এই ঘটনার পরদিন ওই এলাকার জলিল মিস্ত্রির ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন সুহিন ৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করেন।
আসামিরা হলো, বেজপাড়া কবরস্থানপাড়ার ইমান আলীর ছেলে সবুজ, শংকরপুর হারান বস্তির শামছুর ছেলে মাহফুজ, আমজেদের ছেলে তাজু, আশ্রম রোডের জহর আলীর দুই ছেলে ইসাহাক ও সাজ্জাদ হোসেন সাজু এবং ষষ্ঠীতলার খালেকের ছেলে মনিরুল।
বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, শংকরপুর আশ্রম রোডে পিতা-মাতা আয়রন স্টোর নামে তাদের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। বাদীর ভাই কামাল হোসেন তুহিন ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখাশুনা করেন। গত ১৭ মে বিকেল ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শহরের গাড়িখানা রোডের আওয়ামী লীগ অফিসে দলীয় প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য তারা রওনা করেন।
কিন্তু আশ্রম রোডের বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সামনে পৌঁছানোর পর মিজান নামে একজন আসামি মাহফুজের সাথে থাকা সিডুকে ডাক দেয়। এই নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে শহরের চৌরাস্তা সোনালী ব্যাংকের পিছনে সাহেদ উর রহমান রনির মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়।
কিন্তু ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সকল আসামি একত্রে বাদীর ভাই কামাল হোসেন তুহিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সামনে আসে। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামি সবুজ ও মনিরুলের হাতে থাকা বোমা কামাল হোসেন তুহিনকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করে। এসময় তুহিন দৌড়ে জীবন রক্ষায় পাশে সাগরের দোকানের সামনে গেলে সেখানে আসামিরা তাকে কুপিয়ে আহত করে।
এছাড়া তুহিনের ছেলে রোহান এবং পথচারী ট্রাক ড্রাইভার কামাল হোসেনকেও বোমা নিক্ষেপ করে এবং কুপিয়ে আহত করে। এরপর তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত ১৮ মে এই ঘটনায় থানায় মামলা হলেও কোন আসামি আটক হয়নি।
যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, আশ্রম রোডে বোমা হামলা ও কুপিয়ে আহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামি আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।